বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই হাওড়া স্টেশন চত্বরে স্বাভাবিক জনজীবন ছিল। হুগলি ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কয়েকটি জায়গায় অবরোধের জেরে কয়েকটি দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন দেরিতে চলেছে। তবে অবরোধের পরই পুলিস গিয়ে তা তুলে দেয়। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি গণ্ডগোলের ঘটনা ছাড়া মঙ্গলবার বামেদের ডাকা ধর্মঘট ব্যর্থ হল হুগলিতে। সকালের দিকে দোকানপাট ও রাস্তাঘাট কিছুটা শুনশান থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে আর পাঁচটা দিনের মতোই চেহারা নেয়। এদিন সকাল থেকেই জিটি রোড ও বর্ধমান মেন লাইনের একাধিক জায়গায় অবরোধ করে বাম সমর্থকরা। এদিন সকাল ৬টা নাগাদ কোন্নগরে জিটি রোডে অবরোধ করে বাম কর্মীরা। ওই সময়ে রাস্তা অবরোধকারীরা একটি লরিতে ভাঙচুর চালায়। এছাড়াও এদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শ্রীরামপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। ট্রেন থামাতে তারা পাথর ছোঁড়ে। একইভাবে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পাথর ছুঁড়ে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর স্টেশনের মাঝে ট্রেন থামানোর চেষ্টা হয়।
পাশাপাশি প্রায় একই সময়ে রিষড়া, উত্তরপাড়া, হুগলি, জিরাট, পাণ্ডুয়া স্টেশনে অবরোধ করে বাম সমর্থকরা। সকাল ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ মৃদু লাঠিচার্জ করে শ্রীরামপুরে অবরোধ তুলে দেয় পুলিস। একইভাবে পাণ্ডুয়াতেও অবরোধ তুলতে পুলিস লাঠিচার্জ করে। এছাড়া ব্যান্ডেল মোড়ের কাছে ধর্মঘটের প্রতিবাদে মিছিল করার সময়ে তৃণমূলের শহর সভাপতিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজে ছাত্রীরা ক্লাস করতে যাওয়ার সময় ধর্মঘটীরা বাধা দিলে স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রতিবাদ করায় তাঁকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
হাওড়ায় এদিন মঙ্গলাহাটের জন্য জিটি রোডে কিছুটা যানজট ছিল। এছাড়া সকাল থেকেই হাওড়া শহরে বাস, অটো, ট্যাক্সি ও ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক ছিল। অন্যান্য দিনের মতোই এদিন বেসরকারি বাস রাস্তায় নেমেছিল। সরকারি বাসও ছিল তুলনামূলক বেশি। দিনের ব্যস্ত সময়ে বিভিন্ন স্টেশনে অন্যান্য দিনের মতোই যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দুই জেলার প্রশাসনের অফিসেও হাজিরা স্বাভাবিক ছিল বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। হাওড়া সহ অন্যান্য পুরসভায় হাজিরা স্বাভাবিক ছিল।