বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পুরসভার এক শীর্ষকর্তার কথায়, লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরেই ৪এ, ৪বি চৌরঙ্গি প্লেসের রক্সি বিল্ডিং নিয়ে টালবাহানা চলছিল। কলকাতা হাইকোর্ট ওই ভবনটি খালি করার নির্দেশ দিলেও, তা নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। অন্যদিকে, যে সংস্থা লিজে নিয়েছিল, তারাও যে শর্তে তা পেয়েছিল, সেটিও পূরণ করেনি। শর্তানুযায়ী, সঠিকভাবে ব্যবহারও করছিল না ভবনটিকে। স্বাভাবিকভাবেই পুরসভাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। সবক’টি বিষয়কে মাথায় রেখে মেয়রের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি করছেন পুরকর্তারা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ বছরেরও আগে বেঙ্গল প্রপার্টিজ নামে একটি সংস্থাকে লিজ দেওয়া হয়েছিল বাড়িটি। ৯৯ বছরের লিজ চুক্তি হয়েছিল, যা শেষ হয়েছে ২০০৭-’০৮ সালে। কিন্তু লিজ শেষ হওয়ার পরেও তা দখলে রেখে দিয়েছিল বেঙ্গল প্রপার্টিজ। ২০১০ সালে তৃণমূল বোর্ড ক্ষমতায় আসার পর ওই সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ফের ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিতে হলে ৭১ কোটি ৩৪ লক্ষ ১১ হাজার টাকা দিতে হবে। সংস্থাটি তা দিতে নারাজ হওয়ায় পুরসভা সম্পত্তি নিজের দখলে ফেরাতে মামলা করে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে হাইকোর্ট রায় দেয়, সংস্থাটি ফের লিজ চাইলে ওই পরিমাণ টাকাই দিতে হবে। তা না হলে সম্পত্তির দখল পাবে পুরসভাই। সংস্থাটিকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয় রায়ে।
সেই কাজ করতে গিয়েই পুরসভা জানতে পারে, ভবনের চারটি তলে প্রায় ১০ হাজার বর্গফুট জায়গা ‘সাব লিজ’-এর ভিত্তিতে দখলে রেখেছে আর একটি সংস্থা। পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের মেয়র পরিষদের এক বৈঠকের নথির ভিত্তিতে সেখানে ওই ‘সাব লিজ’ নেওয়া সংস্থাকে রক্সি ভবনের এক ‘অকুপায়ার’ বলে চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গেই নতুন করে লিজ চুক্তি করার কথা বলা হয়েছিল। আরও বলা হয়েছিল, পুরসভার মালিকানাধীন এই বাড়ির একটি বড় অংশ লিজ দিয়ে পুরসভা পাবে মাসে বর্গফুট পিছু ৪ টাকা। যা পুরসভা নিজেদের বাজারের দোকান থেকে নেয়। অর্থাৎ, ১০ হাজার বর্গফুটের জন্য পুরসভা পাবে মাসে ৪০ হাজার টাকা। এমনকী, সেখানে কেইআইআইপি-এর অফিস তৈরি সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।