সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
নয়াদিল্লি, ২০ নভেম্বর: দূষণের জেরে নাজেহাল রাজধানী। দিল্লির একাধিক এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) এখনও ৪৫০-এর উপরেই। এর অর্থ দিল্লির বাতাস ‘ভয়াবহ’। এই মুহূর্তে দিল্লিতে জারি রয়েছে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের চতুর্থ পর্যায় বা গ্র্যাপ-৪। কিন্তু তাও মাত্রাছাড়া দূষণের জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে প্রশাসনেরও। এই আবহে উপায়ান্তর না দেখে ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) নির্দেশ দিল দিল্লি সরকার।
আজ, বুধবার দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই ঘোষণা করেছেন, “রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দিল্লির ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মচারী বাড়ি থেকে কাজ করবেন (ওয়ার্ক ফ্রম হোম)। এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়িত করতে বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকও হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৪৯৪ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, যা ছিল এই মরশুমের সর্বোচ্চ। এই আবহে রাজধানীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচতে কৃত্রিম বৃষ্টির উপরই ভরসা রাখছে দিল্লি সরকার। সেইমত কৃত্রিম বৃষ্টির অনুমতি চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রকে চিঠিও পাঠিয়েছে দিল্লি সরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। মন্ত্রীর দাবি, কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য কেন্দ্রকে আগেও অনুরোধ করা হয়েছিল। গত ৩০ আগস্ট, ১০ অক্টোবর এবং ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে চিঠি লিখে আপৎকালীন বৈঠকের আর্জিও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও সাড়া মেলেনি বলেই জানান তিনি।
অন্যদিকে, দূষণের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে সশরীরে উপস্থিতি বন্ধ রাখা হয়েছে। দিল্লির সমস্ত স্কুলেই চলছে অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা। এমনকী, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতেও অনলাইনে পঠনপাঠন হচ্ছে।
দুষণের জেরে দৃশ্যমানতা কম থাকায় রোজই প্রায় বহু বিমানের উড়ানে বিলম্ব ঘটছে। একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনও চলছে দেরিতে। এমনকী বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলও করা হয়েছে। দূষণ রুখতে দিল্লিতে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ বা গ্র্যাপ-৪ চালু করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি। কীভাবে এর থেকে নিস্তার মিলবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে দিল্লিবাসী।