সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
রবিবার সুরাতের পান্ডেসরা এলাকায় হাসপাতালটির উদ্বোধন হয়। গালভরা নাম, ‘জনসেবা মাল্টি স্পেশালিটি’ হাসপাতাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জমকের খামতি ছিল না। কিন্তু শত চেষ্টাতেও শাক দিয়ে মাছ ঢাকা গেল না। খবর প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতালের ঝাঁপ বন্ধ করল সরকার। শুধুই কি চিকিৎসা-স্বার্থ? প্রশ্ন কিন্তু অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েও। সুরাতের দমকল আধিকারিক ঈশ্বর প্যাটেলের কথায়, ‘হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও তা অত্যন্ত নিম্নমানের। ফায়ার এক্সিট নেই। অগ্নি সুরক্ষা সংক্রান্ত শংসাপত্রের জন্য আবেদন পর্যন্ত জানায়নি কর্তৃপক্ষ।’ প্রশ্ন হল, তাহলে কীসের ভিত্তিতে একটা গোটা হাসপাতালের উদ্বোধন হয়ে গেল? কার অনুমতিতে? সরকারের হর্তাকর্তারা যে সেখানে মঞ্চ আলো করে বসে ছিলেন, তাঁরা কি অন্ধকারে ছিলেন? নাকি আড়ালে আরও কিছু আছে?
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সংক্রান্ত পুস্তিকায় বি আর শুক্লা নামে এক চিকিৎসকের নাম রয়েছে। পুস্তিকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যে এই ভুয়ো চিকিৎসকের আয়ুর্বেদের শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিস অফিসার বিজয় সিং গুর্জরের কথায়, ‘আগে থেকেই শুক্লার বিরুদ্ধে গুজরাত মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যাক্টের অধীনে একটি মামলা রয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়। পুলিস জানিয়েছে, হাসপাতালের আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা আর কে দুবের ইলেক্ট্রো হোমিওপ্যাথির শংসাপত্র সম্পূর্ণ ভুয়ো। শুক্লার মতো তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অপর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জি পি মিশ্রর বিরুদ্ধেও প্রহিবিশন অ্যাক্টের অধীনে তিনটি মামলা রয়েছে। মিশ্র সহ বাকি তিনজনের শংসাপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পান্ডেসরা থানার অফিসার এইচ এম গাদভি বলেন, ‘বৈধ ডিগ্রি ছাড়াই বামরোলিতে ক্লিনিক চালানোর অভিযোগ রয়েছে শুক্লা ও দুবের বিরুদ্ধে। মিশ্রর বিরুদ্ধেও তিনটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনজন জামিনে মুক্ত।’
মুন্নাভাইয়ের পদ্ধতি ভুল হলেও উদ্দেশ্য অসৎ ছিল না। আর এখানে উদ্দেশ্যই প্রশ্নের মুখে। প্রচারের শব্দই সার, কলসি কিন্তু ফাঁকাই। শাসকের সঙ্গে বড্ড মিল।