শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবছর দেবীপক্ষের সূচনার দিন বা মহালয়ার দিন কান্দি পুরসভার পক্ষ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা কান্দি পাখমারার ডোব এলাকা থেকে বের হয়ে কার্যত গোটা শহর পরিক্রমা করে। শেষ হয় প্রায় চার কিলোমিটার দূরে জেমো এলাকার ইন্দ্রতলায়। তাতে অংশ নেন বিভিন্ন ক্লাব থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, শহরের পুজো কমিটিগুলো থেকে পুরসভার স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। বহু ধরনের বাজনার দল থেকে ট্যাবলো সাজানো হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর সেই জৌলুস থেকে বঞ্চিত হবেন কান্দির বাসিন্দারা।
এদিন কান্দির বিধায়ক বলেন, এবারের পুজো এমন একটা সময়ে হচ্ছে, যখন মানুষের দুঃখকষ্টের অন্ত নেই। চারিদিকে বন্যাপীড়িত, ভাঙন কবলিত মানুষের অসহায় অবস্থা। জেলার গঙ্গা ভাঙনে একের পর এক গ্রাম বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রচুর কৃষিজমি গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে যাচ্ছে। এমন একটি অবস্থায় এবছর দেবীপক্ষের শোভাযাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্বান্ত নিয়েছে পুরসভা। কান্দির সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলে শোভাযাত্রার অর্থ দিয়ে জেলার ভাঙন কবলিত ও বন্যাপীড়িত মানুষদের সাহায্য করা হবে। ইতিমধ্যে বড়ঞা থানা এলাকায় বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। ওই পরিবারকে সাহায্যও করা হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, পুরসভার কাউন্সিলার থেকে এখানকার ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ, চাকুরিজীবী সকলেই শোভাযাত্রার অর্থ দুর্গত মানুষদের জন্য সাহায্য করতে রাজি হয়েছেন।
এদিকে ডিভিসি’র জল ছাড়া নিয়ে অধীর চৌধুরীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অপূর্ববাবু বলেন, উনি তো বিজেপি’র হয়েই কথা বলবেন। কারণ বিজেপির সঙ্গে ওঁর সখ্য এখনও রয়েছে। তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উনি একটি কথাও বলছেন না। সব দায় রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছেন। ওঁকে বলব, ঠান্ডা ঘরে বসে বক্তব্য না রেখে দুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান।