শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ঝাড়গ্ৰাম জেলায় এইবছর ২২৩টি পুজো কমিটিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। অনুদানের জন্য গত বছরের থেকে এবার আবেদন অনেক বেশি পড়েছে। নিয়ম মেনে আরও কিছু পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া যায় কি না, সেটা দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তিনি জানান, পুজোর দিনগুলোতে মহিলাদের সুরক্ষায় জেলায় পিঙ্ক পেট্রল পরিষেবা চালু থাকবে। রাজ্য সরকার এই বছর অনুদানের অর্থ বৃদ্ধি করেছে। জেলার পুজো কমিটিগুলোর তরফে যা নিয়ে খুশি প্রকাশ করা হয়। মূল্যবৃদ্ধির জেরে গত কয়েক বছর ধরে পুজোর খরচ অনেকটাই বেড়েছে। পুজোর বিপুল খরচ সামলাতে সরকারের অনুদান অনেকটাই সাহায্য করছে। বিগত ২০২২ ও ২০২৩ সালে পুজো কমিটিগুলোকে ৬০ ও ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এই বছর ৮৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। বড় পুজো কমিটিগুলো থিমের পুজো করা নিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বৃষ্টিতে সেই কাজ ব্যাহত হচ্ছে। মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হলেও তা থমকে যাচ্ছে। শহরের রঘুনাথপুর সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা চন্দন সৎপথী বলেন, মূল্যবৃদ্ধির জেরে পুজোর খরচ আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। সরকারি অনুদান পাওয়ায় পুজোর খরচের বোঝা সামলানো সহজ হয়েছে। বড় করে এবার পুজো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির জেরে মণ্ডপ তৈরির কাজ থমকে গিয়েছে। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়ে চিন্তায় আছি।
নয়াগ্ৰাম ব্লকের বড় খাঁকড়ি সর্বজনীন আঞ্চলিক দুর্গোৎসব পুজো কমিটির সদস্য প্রদীপকুমার ঘোষ বলেন, আমাদের অল্প বাজেটের পুজো। সরকারি অনুদান পেয়েছি।
ধুমধাম করে পুজো করার পরিকল্পনা চলছিল। বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষ করা নিয়ে খুবই উদ্বেগের মধ্যে আছি। সাঁকরাইল ব্লকের মলম গ্ৰাম পঞ্চায়েতের এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় পৈড়্যা বলেন, বন্যায় এই এলাকার বহু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। এখনও বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মণ্ডপ তৈরির কাজ এখানে সেভাবে শুরুই করা যায়নি। এভাবে বৃষ্টি হলে উৎসবের আনন্দই মাটি হয়ে যাবে। শহরের এক বড় পুজো কমিটির উদ্যোক্তা বলেন, এই বছর থেকে পোর্টালের মাধ্যমে পুজোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করতে হয়নি। সরকারের অনুদানের পরিমাণও বেড়েছে। কিন্তু বৃষ্টি যেন ভিলেনের ভূমিকায় অবতীর্ণ। মণ্ডপ তৈরির সামগ্ৰী নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি না থামলে ভালোভাবে কাজ শেষ করা যাবে না।