সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
এনিয়ে নদীয়া জেলা ডেপুটি সিএমওএইচ অসিতকুমার দেওয়ান বলেন, রাজ্য যে নির্দেশিকা জারি করেছে, সেই মতো জেলাতে কাজ করা হবে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯০ দিন থেকে ১২ বছর পর্যন্ত আক্রান্ত শিশুদের কোভিড ওয়ার্ডের মহিলা বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হবে। এজন্য রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন করোনা হাসপাতাল কিংবা কোভিড ওয়ার্ডে মোট ১০ হাজার শয্যা নির্দিষ্ট করার কথা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। এছাড়াও এসএনসিউই বা সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে ২০ শতাংশ শয্যা এক থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা বলেন, করোনা আক্রান্ত শিশুদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের প্রায় ১৩০০ পেডিয়াট্রিক ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞরা যাবতীয় বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন। এছাড়াও জেলা বা মহাকুমা হাসপাতালগুলি নিকটবর্তী মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে। প্রয়োজনে মহকুমা বা জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে আক্রান্ত শিশুদের স্থানান্তর করা হতে পারে। যাবতীয় প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য জুলাই মাসের মধ্যে হাসপাতালগুলির মেডিকেল অফিসার, নার্সিং স্টাফ ও মেডিকেল টেকনিশিয়ানদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণের কথাও ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে কোভিড ওয়ার্ডে থাকা শিশুর মা বা নিকট আত্মীয়কে প্রতিমুহূর্তে আক্রান্ত শিশুর শারীরিক অবস্থানের কথা জানানো হবে। আক্রান্ত শিশুদের জন্য কী কী করণীয়, তা পোস্টার আকারে করোনা ওয়ার্ডে টাঙানোর ব্যবস্থাও করতে চায় স্বাস্থ্যদপ্তর। এটিকে চিকিৎসার পরিভাষায় আইইসি বা ইনফর্মেশন এডুকেশন কমিউনিকেশন বলা হয়। চিকিৎসকরা বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে এই ব্যবস্থার উপর বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে।