বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
এদিকে, এদিনও কোচবিহারে বাড়ি থেকে বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় সংস্থা, সংগঠনগুলি নিজেদের মতো করে খাদ্যসামগ্রী বিলি করেছে। হলদিবাড়ির একরামিয়া ইসালে সাওয়াব কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকা দান করেছে। কোচবিহার মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের পক্ষ থেকে এদিন দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে লকডাউনের মধ্যেও গত পাঁচদিনে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন চার রেক চাল, গম ও নুন আনলোড করেছে। ধূপগুড়ি, ফালাকাটা, নিউ কোচবিহার ও কোকরাঝাড় স্টেশনে এই পণ্য নামানো হয়েছে। কয়লা নামানো হয়েছে ২৩ রেক। অন্যান্য এলাকায় আলু পাঠানো হয়েছে নয় রেক। ধূপগুড়ি ও ফালাকাটা থেকে এই আলু পাঠানো হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্য আনলোডের জন্য ৩৫০ জন রেলকর্মী কাজ করছেন। কর্মীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও থার্মাল স্ক্রিনিং চলছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, হাওড়ার সালকিয়ার করোনা সংক্রমণে মৃত মহিলা সম্প্রতি ডুয়ার্সের জঙ্গলে বেড়াতে এসেছিলেন। এখবর চাউর হতেই আলিপুরদুয়ারে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও ওই মহিলা কবে ঘুরতে এসেছিলেন ও কোন সরকারি বা বেসরকারি লজে ছিলেন, তা নিয়ে জেলা প্রশাসন বা স্বাস্থ্যদপ্তর মুখ খুলতে নারাজ।
এদিকে, মঙ্গলবার ময়নাগুড়ি থানার পুলিসের পক্ষ থেকে রামসাইয়ে বনবস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে, জলপাইগুড়ি সুপার স্পোশালিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ ক্ষুব্ধ। অভিযোগ, পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেই। রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কয়েকজনকে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে ঠিক হয়েছে, বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হবে। দু’তিন দিনের মধ্যেই তা তৈরি হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হবে। কয়েকজনকে এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামীতে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণেই চিকিৎসা হবে।
জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, জেলায় আটজন আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, চকচকার মিশন হাসপাতালকে করোনার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, মঙ্গলবার জেলায় কোথাও লকডাউন নিয়ে কোনও গণ্ডগোল হয়নি।