শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত ২৬ বছরের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আন্না সিবাস্তিয়ান পিরাইলের মৃত্যু ঘিরে। বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত আন্নার মৃত্যুর পর তাঁর মা অভিযোগ করেছিলেন, অতিরিক্ত কাজের চাপেই তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই কর্পোরেট অফিসের ‘অসহ্যকর কর্মসংস্কৃতি’ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে।
চেন্নাই মেডিক্যাল কলেজের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন নির্মলা। সেখানেই তিনি আন্নার মৃত্যুর প্রসঙ্গ তোলেন। মন্ত্রী জানান, আমাদের সন্তানরা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যায়, সেখান থেকে ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়। একজন মহিলা যিনি সিএ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তিনি চাকরি করতে গিয়ে কাজের চাপ সামলাতে পারছেন না। নির্মলা বলেন, ‘পরিবারের সন্তানদের শেখানো উচিত যে, তুমি যা নিয়েই পড়াশোনা করো বা যে চাকরিই করো, চাপ সামলানোর জন্য মানসিক শক্তি থাকা প্রয়োজন।’ এর পরেই ভগবানে বিশ্বাস রাখার কথা বলেন তিনি। নির্মলার বক্তব্যের বিরোধিতা করে শিবসেনা (উদ্ধব থ্যাকারেপন্থী)-র রাজ্যসভা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্সির মতো কঠিন বিষয়ে ডিগ্রি পাওয়ার জন্য যে মানসিক চাপ আসে, তা সামলানোর জন্য মানসিক শক্তি আন্নার মধ্যে ছিল। কিন্তু বিষাক্ত কর্মসংস্কৃতি, টানা কাজের সময় তাঁর জীবন কেড়ে নিয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। এভাবে ‘ভিক্টিম শেমিং’ বন্ধ করুন। সিপিআই সাংসদ পি সন্দোশ কুমার অভিযোগ করেছেন, সারা দেশের শ্রমজীবী মানুষের প্রতিদিনের সংগ্রামকে হেয় ও অবজ্ঞা করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।