শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
আজ, মঙ্গলবার সেই উন্মাদনার মাত্রা বেড়ে যায় যখন অনুব্রত কলকাতায় পা রাখেন। গোরু পাচার মামলায় কয়েকদিন আগেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জামিন পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তিহার থেকে ছাড়া পেতে দেরি হচ্ছিল। অবশেষে গতকাল, সোমবার রাতে তিহার থেকে ছাড়া পান অনুব্রত। তাঁকে আনতে গিয়েছিলেন মেয়ে সুকন্যা। তিহার থেকে সোজা দিল্লিতে একটি হোটেলে উঠেছিলেন কেষ্ট। সেখান থেকে গভীর রাতেই বিমান ধরে এদিন ভোরে কলকাতায় নামেন। তারপর এক মুহূর্তও দেরি না করে সোজা বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উল্লাসে ফেটে পড়েন অনুব্রতর বাড়ির বাইরে থাকা হাজার হাজার দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। বোলপুরে পৌঁছনোর আগেই পথে বহু জায়গায় তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে ভিড় জমান দলীয় কর্মীরা। ফুল দিয়ে শুভেচ্ছাও জানানো হয় তাঁকে। নিচুপট্টির বাড়িতে প্রবেশ করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। বিপুল কর্মী-সমর্থক ও অনুগামীদের ভিড়ে স্তব্ধ হয়ে যায় ওই এলাকা। অনুব্রতের কনভয়কে ঘিরে জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন অনেকেই। পরে পুলিসের চেষ্টায় অনুব্রতকে ঘরে প্রবেশ করানো হয়। এদিন তৃণমূল নেতা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। রাজ্য তো বটেই গোটা দেশের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসেন।’ তারপরই সোজা নিজের ঘরে ঢুকে যান তিনি। স্বমেজাজে টেবিলে বসে চা খেতেও দেখা যায় তাঁকে।
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিনই বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক করার কথাও রয়েছে। তাই সেখানে অনুব্রত মণ্ডল যাবেন কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। যার উত্তরে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আমার পায়ের অবস্থা ভালো নয়, পিঠেও ব্যথা রয়েছে। শরীর ভালো থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাব।’ অনুব্রতের পাশাপাশি গোরু পাচার কাণ্ডে আগেই সিবিআই ও ইডির দায়ের করা মামলায় জামিন পান মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। গতকাল, সোমবার থেকেই বাবার সঙ্গে ছিলেন তিনি। এদিকে অনুব্রত বাড়ি ফেরায় সবুজ আবির মেখে সেলিব্রেশন করতে দেখা গিয়েছে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের।