শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এদিন বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, স্বপন দেবনাথ, মলয় ঘটক সহ রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা। প্রত্যেককেই দুর্গত এলাকায় গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘যাদের বাড়ি ভেঙেছে, তাদের তিনটে করে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় জল বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের ত্রাণ শিবিরে আনা হচ্ছে।’ জনপ্রতিনিধিদের নিজেদের তহবিলের টাকায় রাস্তা সংস্কার করতে বলেছেন মমতা। এই বৈঠকের পরই তিনি রওনা দেন দুর্গাপুরের উদ্দেশে। সেখানে দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। দুর্গাপুর লাগোয়া মানাচরে গিয়ে নিজের হাত ত্রাণও বিলি করেন। রাস্তা হোক বা ত্রাণ শিবির, মমতাকে কাছে পেয়ে ঘিরে ধরেন সাধারণ মানুষ। চোখভাঙা জল, আর অসহায় আর্তি। অতিবৃষ্টি এবং ডিভিসির ছাড়া জলে ভেঙেছে তাঁদের মাটির বাড়ি। দেওয়াল ভেঙে জখম অনেকেই। আর এই ছবি দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলার। বন্যাদুর্গত শত শত এমন মানুষের সঙ্গে কথা বলার পরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, তাঁদের মাথার ছাদ হারাতে দেবেন না তিনি। মমতা বলেছেন, ‘ডিসেম্বর মাসে আমরা বাড়ি তৈরির জন্য অর্ধেক টাকা উপভোক্তাদের দিয়ে দেব। তার জন্য সার্ভের কাজ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। আবাস যোজনার তালিকায় বহু মানুষের নাম নেই, অথচ তাঁদের অনেকেরই মাটির বাড়ি রয়েছে। সেই সব বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ওই পরিবারগুলিকেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে টাকা দেওয়া হবে। তাছাড়াও ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।’ শুধু তাই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ধানচাষিদের জন্য বিনামূল্যে বিমা তো ছিলই, এছাড়াও যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
তবে এদিন মমতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মূলত ঘিরে ছিল ডিভিসিকেই। ম্যান মেড বন্যার তকমা তিনি আগেই দিয়েছিলেন। এদিন তিনি আরও বলেন, ‘ডিভিসিকে কর্পোরেট সংস্থার হাতে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। সেখান থেকে আমরা শেয়ার তুলে নিয়েছি। ওখানে আমাদের দু’জন প্রতিনিধি থাকলেও কিছুই জানানো হতো না।’ আজ, মঙ্গলবার বীরভূম যাওয়ার কথা তাঁর। এর আগেই চড়া সুরে মমতার অভিযোগ, গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানে কেন্দ্র কোনও কাজই করেনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার প্রতি বঞ্চনা মানব না। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবেন। ফরাক্কাতেও ড্রেজিং করা হয় না। ফলে মুর্শিদাবাদ প্লাবিত হয়। বড় বড় মূর্তি ও বিল্ডিং তৈরিতে যে টাকা কেন্দ্র খরচ করে, তার এক-তৃতীয়াংশ দিলেই বন্যা নিয়ন্ত্রণে অনেক কাজ করা যেত।’ তাঁর আশঙ্কা, ‘আবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে।’ এই পরিস্থিতিতে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ তিনি দিয়েছেন কর্তাদের।