শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
২৮ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ১৪ হাজার ৫২টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয় কমিশনকে। সেই অনুযায়ী কমিশনও অগ্রসর হচ্ছিল। তবে কমিশনের আইনি পরামর্শদাতাদের কথায়, সেই কাজে রাশ টানেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এর পিছনে দু’টি কারণ ছিল। বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীকে যোগ্যদের তালিকা থেকে বাদ রেখেছিল কমিশন। ফলে মোট প্রার্থী ১৪ হাজার ৫২ হলেও কমিশনের হিসেব অনুযায়ী বৈধ চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৩৩। তবে আদালতের রায়ে ইঙ্গিত ছিল, সবাইকে চাকরি দিতে হবে। সেই মতো এগতে গিয়ে কিছু ধন্দ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে ‘সবাই’ বলতে ১৪ হাজার ৫২ জন, নাকি ১৩ হাজার ৩৩৩ জনকে বোঝানো হচ্ছে, সেই অস্পষ্টতা কাটাতে আদালতের কাছেই রায়ের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলেও ভাবা হচ্ছিল। আবার এই মতও ছিল যে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করা হোক। এর সঙ্গে পার্শ্বশিক্ষকদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকার কথা। ঠিক কী করা হবে, তা নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকও করে কমিশন। কিন্তু চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। এর পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করেছে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেখানে কী রায় হয়, সেদিকেও নজর রাখছে কমিশন। সূত্রের খবর, রবিবার কমিশন গোটা মেধা তালিকাই প্রকাশ করে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। তার জেরেই এদিনের সিদ্ধান্ত। আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের তরফে সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘আন্দোলনের জেরেই এসএসসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বাধ্য হচ্ছে। এদিন প্রায় তিন হাজার চাকরিপ্রার্থী পুলিসের একাধিক ব্যারিকেড ভেঙে কমিশন অফিসের কাছে পৌঁছে যায়। শতাধিক চাকরিপ্রার্থীকে পুলিস আটক করেছে। আমাদের বেশ কিছু সহযোদ্ধা জখমও হয়েছেন। একজন মহিলা চাকরিপ্রার্থীর পোশাক ছিঁড়ে গিয়েছে।’ পুলিস সূত্রে খবর, এক মহিলা কনস্টেবলেরও পোশাক ছিঁড়ে গিয়েছে ধস্তাধস্তিতে। সিনিয়র পুলিস আধিকারিকদের মধ্যস্থতা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাননি। এ প্রসঙ্গে সুশান্তবাবুর পাল্টা দাবি, আলোচনার কিছু ছিল না। আদালতের নির্দেশ মেনে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে কাউন্সেলিং এবং ২১ নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করুক কমিশন। এই আশ্বাস ছাড়া আলোচনার আর কিছু নেই।