শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে তামিলনাড়ুর চেন্নাই থেকে আইফোন ভর্তি ট্রাক কলকাতায় পাঠানো হয়। তাতে ১৫০০ আইফোন ছিল। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ডেবরায় ট্রাক থেকে উধাও হয়ে যায় ৯.৭ কোটি টাকা মূল্যের ফোন। ট্রাকটি হাইওয়েতে পড়ে ছিল। তার চালক ও খালাসির খোঁজ মেলেনি। হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা পুলিসের হাত থেকে তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, আইফোন লুটের পিছনে রয়েছে হরিয়ানার মেওয়াট গ্যাং। তাদের মাথায় রয়েছে আসলাম নামে মেওয়াটের এক যুবক। চেন্নাইয়ের একটি কোম্পানির ট্রান্সপোর্ট বিভাগের কর্মী সে। নিজেদের গোডাউন থেকে আইফোন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে ওই কোম্পানি।
তদন্তকারীরা বলছেন, আইফোন লুটের পরিকল্পা করে আসলাম। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরিচিত এক ব্যক্তির ট্রাক ভাড়া করে এক সঙ্গীকে চালক হিসেবে নেয়। ট্রাকে লাগানো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয় সে। ডেবরায় ফাঁকা ট্রাকটি মেলার পর ওই এলাকার মোবাইল টাওয়ার ডাম্প করে দেখা যায়, আসলামের বেশ কয়েকটি ফোন এসেছে চালকের কাছে। এখান থেকে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন আসলাম এই লুটের ঘটনায় জড়িত। জানা যায়, লুটের পর থেকে সে মেওয়াটেই রয়েছে। এরপর পাতা হয় ফাঁদ।
ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, কয়েকজন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আসলামই কলকাতামুখী ওই ট্রাকে আইফোন লোড করেছিল। ট্রাকটি চেন্নাই ছাড়ার পরই তার কথামতো অপর একটি গাড়িতে চেপে পিছু ধাওয়া করে। ট্রাকটি বাংলায় ঢোকার পর জাতীয় সড়কের কোনও নির্জন জায়গায় ‘অপারেশন’ চালানোর পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিল আসলাম। আইফোন ভর্তি ওই ট্রাকটি ডেবরায় পৌঁছনো মাত্রই চালককে ফোন করে রাস্তার ধারে ট্রাকটি দাঁড় করাতে নির্দেশ দেয় সে। এরপর আসলামের কথামতো ট্রাকের পিছু ধাওয়া করা শাগরেদরা কন্টেনারের তালা ভেঙে সমস্ত আইফোন সরিয়ে নেয়। আসলাম চালককে নির্দেশ দেয়, ট্রাকটি সেখানেই রেখে এলাকা ছাড়তে। ট্রাক চালক তাই করে। তদন্তকারীরা বলছেন, যাতে সাধারণভাবে দেখলে মনে হবে, চালক ও খালাসি মারধর করে ট্রাকটি লুট করা হয়েছে। আসলে তদন্তকে বিভ্রান্ত করতেই এই কৌশল তারা নিয়েছিল বলে জেনেছেন আধিকারিকরা।