নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক প্রতারণা মামলায় এবার ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের যোগসাজশে অন্তত ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রারের। এই মর্মে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই মামলায় ইতিমধ্যেই ইডির কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে তারা কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার ইডির রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলায় অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার এবং ফিনান্স অফিসারের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত করছে। এদিন মামলার শুনানিতে সিআইডির তরফে জানানো হয়, তারা দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি একজন পলাতক। তাঁর খোজ চলছে। কিছু টাকাও উদ্ধার হয়েছে।
দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের গচ্ছিত অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে মামলায়। ওই দুই ব্যাঙ্ক আইন অনুযায়ী বিষয়টি ইডিকে জানিয়েছে কি না, তাও রিপোর্ট আকারে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতি সিনহা তাঁর নির্দেশে আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করবে দ্রুততার সঙ্গে। যেকোনও ব্যক্তিকে জেরাও করতে পারবে তারা। প্রয়োজনে রাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার সাহায্য নেবে সিআইডি। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করতে হবে সিআইডিকেও। পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই।