শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
মাহেশের জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ির লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা সৈকতবাবু। পেশাদার টেনিস আম্পায়ার হিসেবে তিনি পাড়ি দেবেন লন্ডনে। আর শ্রীরামপুরের বাসিন্দা সোমনাথ মান্নাও যাচ্ছেন ম্যাচ পরিচালনা করতে। দু’জনেই লাইন আম্পায়ার হিসেবে ডাক পেয়েছেন। সৈকত ২০ জুন রওনা দেবেন। পরের দিন সাগর পাড়ি দেবেন সোমনাথ। এই দুই বাঙালির কৃতিত্বে গঙ্গাপাড়ের ঐতিহ্যবাহী শহরে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে। একসময় সাগরপাড় করে এসে বিদেশিরা শ্রীরামপুরে রাজত্ব চালিয়েছে। আজ সেখানেই দাপুটে উপস্থিতি দুই বাঙালির। এই দু’জন যে প্রথমবার উইম্বলডনের ম্যাচ পরিচালনা করতে যাচ্ছেন এমন অবশ্য নয়। তবে এই প্রথম দু’জনকে মূল পর্বের ম্যাচ পরিচালনার জন্য ডাকা হয়েছে।
সৈকতবাবু বলেন, ‘বাছাই পর্বের ম্যাচ পরিচালনা করেই অনেক লাইন আম্পায়ারের জীবন কেটে গিয়েছে। আমি ২০১১ সাল অর্থাৎ পেশাদার জীবনের দ্বিতীয় বছরেই মূল পর্বের ম্যাচের দায়িত্ব পেয়েছি।’ সৈকতের উত্থান চমকপ্রদ। আঠারো বছর বয়সে পকেট খরচা চালাতে কলকাতা ময়দানে টেনিস আম্পায়ার হয়েছিলেন। তারপর এটিকেই পেশা করেছেন। নাদাল থেকে জকোভিচ, ভেনাস থেকে সেরেনা উইলিয়ামসদের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। সুনাম অর্জন করেছেন। ফলে উইম্বলডন তো বটেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন সহ প্রথম সারির প্রায় সমস্ত টেনিস প্রতিযোগিতায় তাঁর ডাক পড়ে। এরইমধ্যে হাতেখড়ি হয়েছে কোচিংয়েও। কঠোর অভিজ্ঞতা হয়েছে করোনা পর্বে উইম্বলডনে ম্যাচ খেলাতে গিয়ে। আক্ষেপও রয়েছে বছর আটচল্লিশের এই আম্পায়ারের। জার্মান খেলোয়ার বরিস বেকারের অন্ধভক্ত তিনি। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক টেনিস সার্কিটে পা রাখেন তখন বরিস অবসর নিয়ে ফেলেছেন। সৈকত বলেন, ‘বরিসকে খেলাতে পারিনি। এই আক্ষেপটা কখনও ঘুচবে না।’
সোমনাথ মান্না অবশ্য এতটা স্মৃতিকাতর নন। তিনি বরং ১১বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরে খুশি। বলেন, ‘আমি বাছাই ও মূলপর্ব, দু’টিতেই আম্পায়ার হিসেবে কাজের ডাক পেয়েছি। ১১বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে একজন বাঙালি বিশ্বমঞ্চে কাজ করছে, সেটা বড় পাওনা।’ তাঁদের পাওনা বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছে। বিশ্বের দরবারে উপস্থিতি থাকবে শ্রীরামপুরের বাঙালির সেটা আপামর বাঙালির গর্বের বিষয়।