শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এর আগে এই মামলাতেই ইডি-র আইও মিথিলেশ মিশ্রকে এজলাসে দাঁড় করিয়ে তুলোধোনা করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। আর বুধবার ইডির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি সরাসরি বলেন, ‘আপনাদের কিছু আধিকারিককে সতর্ক হতে বলুন। আদালতের কাছেও অনেক তথ্য আসছে। বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকেই তথ্যগুলি আসছে। আদালত জানতে পেরেছে ওই আধিকারিকদের কাজে অনীহা রয়েছে। কাকে জেরা করা হবে, কাকে জেরা করা হবে না, তা নিয়ে বাছবিচার করা হচ্ছে। ভুলে যাবেন না আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই আমার কাছেও কিন্তু খবর আসছে। চূড়ান্তভাবে সতর্ক থাকতে বলুন আপনার অফিসারদের।’
এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই ও ইডি। তাদের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী দাবি করেন, তাঁরা তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছেন। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। তার বাজার মূল্য ২৫০ কোটিরও বেশি।’ এছাড়াও তিনি জানান, যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলির যাচাই পদ্ধতি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। কোনও সম্পত্তি দখলমুক্ত করা যায়নি। ফলে এতেই প্রমাণ হয়, ইডি যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। পাশাপাশি রিপোর্টে উল্লেখ, এখনও পর্যন্ত লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যদিও বিচারপতি সিনহা এই সম্পত্তির উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার কোনও সদূত্তর দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী। ইডির দাবি, আমরা প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা কেউ এখনও জামিন পাননি। তদন্ত দ্রুত গতিতে এগচ্ছে।
যদিও দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন সন্তুষ্ট নন বিচারপতি সিনহা। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু তথা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস স্যাম্পল টেস্ট করার পরও কেন তদন্ত এগচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি এই মামলায় গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। রাজ্য এখনও সেই রিপোর্ট জমা দেয়নি। বিষয়টি নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি সিনহা। ৩০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে।