সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এতদিন দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন স্কুলের উদ্যোগে এই অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। শিক্ষাদপ্তরের তরফ থেকেও টিভির মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার জেলাস্তরে মহকুমা ভাগ করে এমন অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা গোটা রাজ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাস শুরু হওয়ার আগে একটি লিঙ্ক প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রথম ৫০ জন এই লিঙ্কে ঢুকে ক্লাস করতে পারবে। তবে শুধু ক্লাস করাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের যদি কোনও প্রশ্ন থাকে, তারা তাও করতে পারবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে। একেকটি ক্লাস চলবে এক ঘণ্টা। পুরোটাই রেকর্ডিং করা হবে। সেগুলি ইউটিউবে আপলোড করে দেবে জেলার শিক্ষা বিভাগ। যেসব ছাত্রছাত্রী অনলাইন ক্লাস করতে পারবে না, তারা পরে ওই রেকর্ডিং দেখে প্রস্তুতি নিতে পারবে। এদিন যেমন বাংলা, ইতিহাস এবং বায়োলজির ক্লাস হয়েছে। আগে যেখানে কোনও শিক্ষকের ক্লাস শুধু সেই স্কুলের পড়ুয়ারাই করতে পারত, এখন সেই ক্লাস মহকুমার অন্যান্য স্কুলের পড়ুয়ারাও করতে পারবে। এদিন এই ক্লাস শুরু হতে না হতেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে জেলা শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন এমন ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে মাত্র ৫০ জন পড়ুয়া। এই সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়ানোর দাবি উঠেছে। এক আধিকারিক বলেন, আগামী বছর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা বোর্ডের পরীক্ষা দেবে। তাই তাদের প্রস্তুতির জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যেসব পড়ুয়ার স্মার্ট ফোন নেই, তারা কী করে এই ক্লাস করবে? আপাতত সেইসব পড়ুয়াদের অ্যাক্টিভিটি টাস্কের মাধ্যমে প্রস্তুতি চলছে। তবে আগামী দিনে এই ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা হবে কি না, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।