নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লোকসভা ভোট মেটার পর তৃণমূলের এখন ‘পাখির চোখ’ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলের সাংগঠনিক স্তরে এবং মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। শীর্ষস্তরের একাধিক নেতা মনে করছেন, বিধানসভা উপ নির্বাচনের পর্ব মিটলেই সম্ভাব্য রদবদল হতে পারে। লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৯টিতে জয়ী হলেও তাদের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বলছে, সাংগঠনিক কিছু ব্যর্থতার জন্য অন্তত তিন-চারটি আসন হাতছাড়া হয়েছে। সেই সব ফাঁকফোকর ভরাট করে বিধানসভার ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পরিকল্পনা করছে জোড়াফুল শিবির। লোকসভা ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে জেলাস্তরের কয়েকজন নেতার সম্পর্কে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নির্দিষ্ট খবর এসেছে। জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে যাঁদের পারফরম্যান্স ভালো নয়, সেখানে রদবদল হবে বলে খবর। ব্লক ও অঞ্চল স্তরেও রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া দলে থেকে দলের ক্ষতি করছেন, এমন ব্যক্তিদের ‘চিহ্নিত’ করতে চায় শীর্ষ নেতৃত্ব। এই অবস্থায় মনে করা হচ্ছে, আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সমাবেশ থেকেই সাংগঠনিকস্তরে পরিবর্তনের বড় বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে বিধানসভা ভিত্তিক কিছু সাংগঠনিক রদবদল হবে। উত্তরের জেলাগুলিতে লোকসভায় খুব ভালো ফল হয়নি তৃণমূলের। উত্তরবঙ্গের আটটি জেলায় সংগঠন আরও পোক্ত করতে চায় তৃণমূল। বিশেষ নজর রয়েছে দুই দিনাজপুর ও মালদহে। এছাড়া, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বিশেষ ভাবনাচিন্তা করছে। এই তালিকায় রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা। দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি ছিলেন তাপস রায়। তিনি বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর ওই পদ ফাঁকা রয়েছে। সেখানেও তৃণমূল নতুন কাউকে দায়িত্ব দেবে শীঘ্রই।