গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
চন্দননগর পুরসভার প্রশাসক তথা পুর কমিশনার স্বপনকুমার কুণ্ডু বলেন, দু’টি ঠিকাদার সংস্থাকে আমরা ছয় মাসের জন্যে সাসপেন্ড করেছি। পুরসভার প্রকল্প হাতে নিয়ে ঢিমেতালে কাজ করা হচ্ছিল। এনিয়ে সতর্ক করার পরে একাধিক ঠিকদারকে শোকজ করা হয়। তার মধ্যে দু’জনের উত্তর ও আমাদের সরজমিন তদন্তে আসা রিপোর্টে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তারপরেই ওই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। এজাতীয় পদক্ষেপ আগামীতে আরও হবে। পুরসভা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করার জন্যে দায়বদ্ধ। এনিয়ে কোনও সমঝোতা করা হবে না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুরকর্তা বলেন, এই ঘটনায় দু’টি পরিষ্কার বার্তা ঠিকাদারদের দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, কোনওভাবে পুরসভা কড়া পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নের কাজ সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও ওজরআপত্তি চলবে না।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অনেক পুরসভার মতোই চন্দননগরেও একাংশের ঠিকাদারের সময়ে কাজ শেষ না করার প্রবণতা আছে। এনিয়ে পুর প্রশাসকরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছিলেন। কিন্তু অভিযোগ তাতে বড় কোনও সাফল্য আসেনি। এদিকে, পুরভোট ঘোষণার প্রাক্কালে সম্প্রতি শহরাঞ্চলের যাবতীয় উন্নয়ন কাজ শেষ করে ফেলতে এবং নতুন প্রায় ২০০টি প্রকল্প পুরসভা হাতে নেয়। এই পরিস্থিতিতে পুরনো কাজ শেষ না করেই অনেক ঠিকাদার নতুন করে কাজ নিতে তৎপর হয়ে ওঠে। এরফলে সময়ে কাজ শেষ হওয়া পুরকর্তাদের আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটেই কিছুদিন আগে প্রায় ১০ দিন ঠিকাদারকে সময়ে কাজ শেষ না করার জন্যে শোকজ করে পুরসভা। তাদের উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে দু’জনকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর বুধবার ওই দু’জনকে ছয় মাসের জন্যে কালো তালিকাভুক্ত করে নোটিস জারি করা হয়।
পুরসভা সূত্র্রে জানা গিয়েছে, ওই তালিকায় চন্দননগরের কলুপুকুরের এক ঠিকাদার আছেন। তাঁর হাতে পাঁচটি কাজ আছে। বড়বাজারের একটি ঠিকাদার ফার্মকেও ওই তালিকায় রাখা হয়েছে। তার হাতে একটি বড় আকারের গুচ্ছ কাজ আছে। ঠিকাদার মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্দেশিকা প্রকাশের পরপরই ঠিকদারদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে। পুরকর্তারা সূত্রে জানা গিয়েছে, এধরনের পদক্ষেপ এই পুরসভার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অতীতে হয়নি। ফলে অন্যান্য ঠিকাদাররা সতর্ক হলে আখেরে পুরবাসীর লাভ হবে। পুরসভার এক অফিসার বলেন, পুরসভা সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় কাজ করে। কিন্তু, অনেক সময়েই ঠিকাদার গাফিলতির দায় পুরসভাকে নিতে হয়। সেই পথে আর হাঁটা হবে না।