গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
খড়্গপুরের অদূরে পূর্বপাথরি গ্রামের বাসিন্দা অনুরানি ২০০৯ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশে কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকার রাজেন্দ্র শিক্ষাসদন গার্লস হাইস্কুলে ইংরেজির শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন। সকাল ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁকে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। তা সত্ত্বেও ২০১৬ সাল পর্যন্ত চাকরি জীবনে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু, ওই বছরের ২৬ জুলাই ছোট মেয়ের জন্মের পরই সবকিছু বদলে যায়। তিনি নিজে ও মেয়ে, ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালে দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হন।
তাঁর আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য ও স্বপনকুমার পাল আদালতকে জানান, চাইল্ড কেয়ার লিভ বাবদ ৭৩০ দিন, মেটারনিটি লিভ বাবদ ৩৬৫ দিন এবং এক্সট্রাঅর্ডিনারি লিভ বাবদ আরও দুই বছর তিনি বা তাঁর মতো অবস্থার সম্মুখীন যে কোনও শিক্ষিকা ছুটি পেতে পারেন। এই তথ্য ওই শিক্ষিকার জানা ছিল। কিন্তু, সুস্থ হয়ে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বাধার সম্মুখীন হন। যদিও ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়ে তাঁকে বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, ২০১৭ সালের ৫ মার্চ থেকে ২০১৯ সালের ২ জুলাই পর্যন্ত তিনি যেভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন, তা বেআইনি। সেই সঙ্গে চিঠিতে ওই সময়কালে দেওয়া বেতন ফেরত চাওয়া হয়। ওই আইনজীবীরা দাবি করেন, ২০১৭ নয়, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে যেতে পারেননি।
এদিনের শুনানিতে আদালতকে এও জানানো হয়, তিনি যেহেতু তফসিলি উপজাতি শ্রেণীর মানুষ, সেই কারণে ২০১৭ সাল থেকে তিনি বিদ্যালয়ে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। পাওনা হলেও তাঁর ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে না। এমনকী পে-ফিক্সেশনও হয়নি। অথচ, তিনি সরকার অনুমোদিত স্থায়ী শিক্ষিকা। বিষয়টি তিনি কলকাতা জেলার ‘ওয়েলফেয়ার অফিসার’কে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই জানিয়েছেন। কোনও ফয়সালা হয়নি। কাজে যোগ দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ঘটনাও তিনি জেলা স্কুল পরিদর্শক ও যাদবপুর থানাকে জানিয়েছেন। যার প্রতিলিপি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সম্পাদককেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, কোনও প্রতিকার পাননি বলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।