গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
নিউ বারাকপুর পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের একটি আবাসনে থাকে সাতটি পরিবার। এই পরিবারগুলিকে এখনও নিয়মিত জলকর দিয়ে যেতে হচ্ছে। সম্প্রতি এই আবাসন থেকে পুরসভার দেওয়া জলের মিটার চুরি হয়েছিল। ফলে প্রতিদিনই পাইপ লাইনের জল অপচয় হতো। নতুন মিটার বসানোর জন্য আবাসিকরা তিন হাজার টাকা জমা দেন পুরসভায়। অভিযোগ, বহু টালবাহনা শেষে ১০ দিন পর পুরকর্মীরা এসে নতুন মিটার লাগিয়ে দিয়ে যান। সেখানকার আবাসিকরা বলেন, যে দিন মিটার চুরি হয়, তার পরদিনই খবর দেওয়া হয়েছিল পুরসভায়। কিন্তু পুরকর্মীরা আসেননি। পরে নতুন মিটারের জন্য টাকা জমা দেওয়া হয়। তারও দশদিন পরে এসে নতুন মিটার লাগান পুরকর্মীরা। যে জল অপচয় হয়েছে, তা তো আমাদের জন্য নয়। পুরকর্মীদের গাফিলতির জন্যই তা হয়েছে। এখন অপচয় হওয়া জলের জন্যও টাকা চাইছে পুরসভা। আবাসিকরা বলেন, আমাদের প্রতি দু’মাস অন্তর ২২০০ টাকা জলকর দিতে হয়।
নিউ বারাকপুরের বাসিন্দারা বলেন, সাধারণ বাড়ির ক্ষেত্রে জলকর তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও ফ্ল্যাটবাড়ি থেকে জলকর নেওয়া হয়। ফ্ল্যাটের যাঁরা বাসিন্দা, তাঁরা তো পুরসভার জল ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করেন না। ঘরের কাজেই ওই জল লাগে। তবুও কেন জলকর? সাধারণ বাড়ি আর ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম কেন? যাঁরা ব্যবসায়িক কাজে জল ব্যবহার করেন, তাঁদের থেকে জলকর নেওয়া হোক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলার বলেন, ফ্ল্যাট থেকে জলকর নেওয়া নিয়ে অনেকদিন ধরেই আপত্তি উঠছে। ভোট চাইতে গেলে আমাদের কথা শুনতে হয়। আমরা বিষয়টি চেয়ারম্যানকেও বলেছি। কিন্তু গুরুত্ব দেননি তিনি। সামনেই আবার ভোট আসছে। এখনই জলকর তুলে না দেওয়া হলে বিরোধীরা ইস্যু করতে পারে। আর এই এলাকায় ফ্ল্যাটের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
নিউ বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃপ্তি মজুমদার বলেন, পুরসভা জলকর নেয় না। যে আবাসন নিয়ে কথা হচ্ছে, সেখানে কমার্শিয়াল লাইন ছিল। ফ্ল্যাটবাড়ি থেকে জলকর তুলে দেওয়ার জন্য বোর্ড মিটিং করা হবে। তাতে পাশ করানো হবে।