গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মহেশতলার চন্দননগরের কাছে উড়ালপুলের উপর একটি বেসরকারি গাড়ির চাকা ফেটে গেলে তা দাঁড়িয়ে যায়। চালক গাড়ি থেকে নেমে যান। কিছুটা দূরে নিরাপদ জায়গাতে দাঁড়িয়ে ফোনে মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় তারাতলা থেকে বাটার দিকে দ্রুতবেগে দু’টি মোটরবাইক যাচ্ছিল। আচমকা বাইক দু’টি গিয়ে দাঁড়ানোর ওই গাড়ির ডান দিকের অংশে সজোরে ধাক্কা মারে। তার জেরে সামনের বাইক আরোহী ছিটকে রাস্তার উপর পড়েন। তাঁর গাড়ির সামনের চাকা ভেঙে গিয়ে উড়ালপুলের নীচের রাস্তায় পড়ে। যদিও সেই সময় ওই অংশে কেউ না থাকায় তা কারও মাথায় পড়েনি।
খবর পেয়ে মহেশতলা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিসের দাবি অনুসারে ঘটনাস্থলেই মারা যান অবিনাশকুমার। মারাত্মক জখম অবস্থায় অমিতকুমারকে বিদ্যাসাগর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কোঠারিতে স্থানান্তর করার পর মারা যান।
এই ঘটনার জেরে সম্প্রীতি উড়ালপুলের উপর সাময়িক গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে অবশ্য স্বাভাবিক হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সম্প্রীতি উড়ালপুলে নজদারি না থাকায় প্রায় সেখানে মোটরবাইকের রেস হয়। এর আগেও একটি মোটরবাইক উড়ালপুল থেকে ছিটকে নীচের রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল। পুলিসের কাছে মৃতদের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, দু’জনই ছাত্র। পড়ার ফাঁকে তাঁরা একটি কলসেন্টারে কাজ করেন। রাতে সেই কর্মস্থল থেকে কাজ সেরে মোল্লারগেটে বাড়ি ফিরছিলেন। তারাতলা থেকে জিনজিরা বাজার হয়ে কিছুটা গেলেই মোল্লার গেট। নীচের রাস্তা দিয়ে গেলে তা অনেকটা কাছে। সেখানে ওই দু’জন পড়ুয়া কেন নীচ দিয়ে বাড়ির রাস্তায় না গিয়ে উড়ালপুলে উঠলেন কেন-তা নিয়ে পুলিস ধন্দে।