গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
বিধাননগর কমিশনারেটের এক শীর্ষ কর্তা জানান, সোমবার রাতে নিউটাউনের হাতিয়াড়া ঝিলবাগান এলাকার শিবু সর্দার নামে এক বাসিন্দা আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্স চালক গাড়ি নিয়ে আসার পর কলকাতার হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ৭০০ টাকা চান। প্রথমে রোগীর পরিবার ওই পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকার করলেও পরে তাঁরা জানান, আগে হাসপাতালে নিয়ে চলুন তারপরে টাকা দেওয়া হবে। যদিও অ্যাম্বুলেন্স চালক টাকা ছাড়া যেতে রাজি হয়নি। এই অবস্থায় দু’পক্ষের বাদানুবাদ চলাকালীন রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এরপরেই রোগীর পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিবেশী এবং রোগীর আত্মীয়রা অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধর করে। গাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়। পুলিসকর্তা জানান, খবর পেয়ে সেই সময় ইকো পার্ক থানার পুলিস ঘটনাস্থল থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যদিও ওই পুলিসকর্তা জানান, এখনও কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। ফলে ঘটনায় কোনও মামলা রুজু হয়নি, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
যদিও স্থানীয় সূত্রের কথায় অ্যাম্বুলেন্সটিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক বাসিন্দার কথায়, ওই অ্যাম্বুলেন্সটি রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা থেকে স্থানীয়দের জন্য চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, ওই পুরসভা যখন বিধাননগরের সঙ্গে মিশে যায়, তখন অ্যাম্বুলেন্সটি তারা আর অধিগ্রহণ করেনি। ফলে সেটি অবহেলায় পরে ছিল। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভায় থাকাকালীন যিনি গাড়ি চালাতেন, তিনিই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ফের অ্যাম্বুলেন্সটিকে সারিয়ে চালানোর আবেদন জানান। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এতদিন অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন। তা থেকে যা আয় হতো, সেই দিয়েই সেটিকে রক্ষণাবেক্ষন করা হত। যদিও বিধাননগর পুরসভার আধিকারিরা এই অ্যাম্বুলেন্সটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। যদিও পুরসভার অন্য একটি সূত্রের দাবি, রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা ওই অ্যাম্বুলেন্সটিকে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য দান করেছিল। সেক্ষেত্রে সেটির প্রতি পুরসভার সরাসরি কোনও অধিকার থাকছে না। যদিও তাহলে অ্যাম্বুলেন্সটি কার দায়িত্বে থাকার কথা? সেবিষয়ে পুরসভাও নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেনি।