গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
তবে অনেক তীর্থযাত্রীকেই দেখা গেল এখানে ভিড় করছেন প্লাস্টিক ব্যাগ না দিয়ে একটা কাপড়ের নেওয়ার জন্য। বাবুঘাট ক্যাম্পে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা টেবিল-চেয়ার পেতে তীর্থযাত্রীদের বসিয়ে খাওয়ানোর ঢালাও ব্যবস্থা করেছে। ভাত, ডাল, তরকারি, পুরি, পায়েস, মিষ্টি থেকে হাত গরম রুটি ও চা-বিস্কুট, সবই এখানে বিনা পয়সায় মিলছে। বেশ কয়েকটি সংস্থা তীর্থযাত্রীদের কম্বল, পোশাক দিচ্ছে। স্বাস্থ্য শিবিরে ওষুধ, চোখ পরীক্ষা করে চশমা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। সবই হচ্ছে নিখরচায়। তীর্থযাত্রীদের থাকা, মাল জমা রাখার জন্য যখন কোনও খরচ করতে হচ্ছে না, সেখানে সামান্য একটা কাপড়ের থলে কেন বিনা পয়সায় মিলবে না। কিন্তু প্লাস্টিক স্বেচ্ছাসেবকরা ভীষণ কড়া। প্লাস্টিক ব্যাগ জমা না দিলে অনেক অনুরোধেও কাপড়ের ব্যাগ দিচ্ছেন না। বৈষ্ণব আখড়ার সাধু রামচরণ দাসকেও ফেরত পাঠিয়েছিলেন প্লাস্টিকের ব্যাগ আনতে না পারার জন্য। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে কোথা থেকে একটি শতছিন্ন প্লাস্টিকের প্যাকেট নিয়ে এসে ওই সাধু পেয়ে গেলেন কাপড়ের থলে।
গঙ্গাসাগর মেলার মতো বাবুঘাটের ট্রানজিট শিবির আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা। তবে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার তীর্থযাত্রীদের ভিড় কিছুটা কম এখানে। আজ, বুধবার ভোর রাত থেকে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান শুরু হবে। তাই তীর্থযাত্রীদের একটা বড় অংশই রওনা হয়ে গিয়েছে সাগদ্বীপের উদ্দেশে। যাঁরা কিছু দেরিতে পৌঁছেছেন, তাঁদের অনেকেই কলকাতার গঙ্গায় মকর সংক্রান্তির স্নান সেরে তবেই যাবেন সাগরদ্বীপে।
তবে বাবুঘাটের এই মিনি গঙ্গাসাগর মেলায় শুধু সাগরদ্বীপমুখী তীর্থযাত্রীরা আসছেন তাই নয়। অনেকেই আসছেন গঙ্গাসাগর না গিয়ে সাধু দর্শনে। বিশেষ করে নাগা সাধুদের দেখতে ও তাঁদের আশীর্বাদ নিতে অনেকেই আসছেন। সাধুদের ডেরায় দেখা যাচ্ছে ভক্তদের ভিড়। কাঠের ধোঁয়ায় চোখ জ্বলছে। তার মধ্যেই বসে সাধুবাবার আশীর্বাদ নিচ্ছেন গৃহী ভক্তরা। নাগা সাধুদের কেরামতি দেখতে তো রীতিমতো ভিড় জমে যাচ্ছে। এক নাগা সাধু ইট বেঁধে কসরত দেখাচ্ছিলেন। তাঁর ডেরার সামনে জমাট ভিড়। বাবুঘাট ক্যাম্প জুড়ে চলছে ধর্মীয় শিবিরও। সেখানেও যথেষ্ট ভিড়। জঙ্গলের গাছ ফুটিয়ে তেল বের করছিলেন এক চিকিৎসক সাধু। ওই তেল মাখলে নাকি সব রকম ব্যথা দূর হয়ে যাবে। ভিড় সেখানেও।