গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
এদিন ওই পুলিস আধিকারিক জানান, সোমবার রাতে ধৃত তিনজনের নাম অজয় সিং, রাজ আনসারি এবং পাপাই সর্দার। সবার বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে পাপাইয়ের বাড়ি ডোমজুড় থানা এলাকায়। বাকি দু’জনের বাড়ি সাঁকরাইলে। ধৃতদের কাছ থেকে মন্দির, ঘরবাড়িতে চুরির জন্য নানা সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। স্ক্রু ড্রাইভার, গ্রিল কাটার যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের চাবি উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। এছাড়াও নগদ ৪৩ হাজার টাকা, আটটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু রুপোর অলঙ্কার, একটি ছুরি, একটি দেশি পিস্তল এবং কিছু গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে। এদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে চক্রের বাকিদের খোঁজ চলছে বলে জানান জভি থমাস।
তিনি আরও বলেন, শিবপুরের দিকে পরপর মন্দিরে চুরির ঘটনার পর আমরা এসব এলাকায় রাতের টহলদারি এবং মোটরবাইকে নজরদারি বাড়িয়েছিলাম। সোমবার রাতে এই দলটিকে স্বামী বিবেকানন্দ রোডের কাছে আমরা চিহ্নিত করি। সম্ভবত তখন নতুন কোনও জায়গায় চুরির পরিকল্পনা চলছিল। হাতেনাতেই ধরা হয় এদের, কয়েকজন পালিয়েছে। এই তিনজন বেশ কিছু মন্দিরে চুরির কথা স্বীকার করেছে বলেও দাবি পুলিসের।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৬ তারিখে হাওড়া পুরসভার ২৫ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং তিনটি মন্দিরে চুরি হয়। ৯ জানুয়ারি এই ঘটনায় তিনজনকে চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাদের কাছ থেকে অনেক গাঁজাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তখন পুলিসকর্তারা জানিয়েছিলেন, একটি বড় চক্র একের পর এক চুরিগুলি করে যাচ্ছে। সেইমতো এলাকায় রাতের নজরদারি বাড়িয়ে ফল পেল পুলিস। তবে সোমবার রাতেই পালিয়ে যাওয়া তিন-চারজন চোর তো বটেই, আরও কেউ জড়িত আছে কি না, জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।