সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
মূলত আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ায় ড্রাগন ফলের চাষ হয়। বর্তমানে এদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ড্রাগন। ড্রাগন এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। এই গাছের কোনও পাতা নেই। গাছ সাধারণত ১.৫ থেকে ২.৫ পর্যন্ত মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
জানা গিয়েছে, ড্রাগন ফল পাকলে খোসার রং লাল হয়। শাঁস গাঢ় গোলাপি রঙের, সাদা এবং রসালো প্রকৃতির হয়। বীজগুলো ছোট ছোট। কালো ও নরম। একটি ফলের ওজন ১৫০গ্রাম থেকে ৬০০গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ড্রাগন ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। বেলে-দোআঁশ মাটি ড্রাগন চাষের পক্ষে আদর্শ। উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে এবং ভালোভাবে মই দিতে হবে। চারা রোপণের জন্য উপযোগী সময় হল এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। রোপণের পর এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।
২০১৮-’১৯ আর্থিক বর্ষে খেজুরি-২ ব্লক কৃষিদপ্তর পাঁচজন চাষিকে ‘আত্মা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ড্রাগনের চারা দিয়েছিল। সকলের বাগানেই ফলন হয়েছে। খেজুরির নরশুলাচক গ্রামের দেবাশিস হাজরার বাগানে সবচেয়ে ভালো ফলন হয়েছে। ড্রাগন ফলের নাম শুনে কৃষিদপ্তর থেকে চারাগাছ আনেন। উৎসাহের সঙ্গে ৪৮টি গাছ লাগিয়েছিলেন। সেই গাছগুলি এখন ফলে ভর্তি। বাজারমূল্য বেশি হলেও ৪০০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন দেবাশিসবাবু। দেবাশিসবাবু বলেন, জৈব সার দিয়ে গাছ বড় করেছি। এক বছর গাছ পরিচর্যা করার পর ফল পেলাম। দারুণ অভিজ্ঞতা।
খেজুরির কলাগেছিয়া জগদীশ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক মিহিরকুমার প্রধান বলেন, ড্রাগন ফল হল সর্বরোগহরা। খেজুরির পরিবেশ, মাটি ড্রাগন চাষের জন্য আদর্শ। ব্লক সহ কৃষি-অধিকর্তা প্রীতম দাস বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগনের চাষ করে প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছি। আগ্রহী চাষিদেরই আমরা চারা দিই। ফলগুলি সরকারি উদ্যোগে বিক্রি ব্যবস্থা করার জন্য জেলা কৃষিদপ্তরের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি।
মহকুমা সহ কৃষি-অধিকর্তা(প্রশাসন) অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, বিপণনের সম্ভাবনা বাড়লে আমরা চাষিদের ড্রাগন চাষ সম্পর্কে আরও বেশি করে উৎসাহিত করব। তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ব্লকে ব্লকে প্রদর্শনী ক্ষেত্রও গড়ে তোলা হবে। নিজস্ব চিত্র