সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কৃষিদপ্তর, বন বিভাগ, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসুনিশ্চয়তা প্রকল্প প্রভৃতির যৌথ সমন্বয়ে মাটির সৃষ্টি প্রকল্প হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত এই মাটির সৃষ্টি প্রকল্প রাজ্যে শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সিউড়ি-১ ব্লক হলুদ চাষের উদ্যোগ নেয়। সেইমতো লতাবনি সংলগ্ন গভীর জঙ্গলে গাছের মাঝে-মাঝে জমি তৈরি করে হলুদ চাষ করা হয়েছে। লতাবনির ১০জন আদিবাসী মহিলাকে নিয়ে গঠন করা হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠী। তাঁদের মাধ্যমেই গত জুলাই মাসে কৃষিদপ্তর হলুদ চাষের সূচনা করে। চাষের জন্য হলুদের বীজ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেয়। কৃষি দপ্তরের দাবি, খুব অল্প খরচেই হলুদ চাষ করা সম্ভব। সিউড়ি-১ ব্লকের কৃষি আধিকারিক সুসময় কুণ্ডু বলেন, প্রকল্পটি শুরু করতে ৪০০০ টাকা খরচ করা হয়েছে। আট-ন’মাসের মধ্যেই হলুদ জমি থেকে উঠে যাবে। তাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে হওয়া হলুদ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে ওই এক বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করা হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসুনিশ্চয়তা প্রকল্পের আওতায় পারিশ্রমিকও পাবেন। তবে, হলুদ চাষে পরিচর্যাও প্রয়োজন রয়েছে। কৃষিদপ্তরের দাবি, এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে সিউড়ি-১ ব্লকে হলুদ চাষ করা হয়েছে। সাফল্য পাওয়া গেলে তা আরও বেশি পরিমাণ জমিতে করার পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষিদপ্তরের দাবি, বাজারে হলুদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতেও হলুদের চাহিদা বেড়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা বাড়িতে নিজেদের জন্য যেমন ব্যবহার করতে পারবেন, তেমনি কাঁচা বা শুকনো হলুদও বিক্রি করতে পারবেন। বীরভূমের কৃষিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর একেএম মিনাজুর আহাসান বলেন, সিউড়ি-১ ব্লকে হলুদ চাষ করা হচ্ছে। অন্যান্য ব্লকেও তা করা যায় কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।