সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধু খাবার প্রয়োগ করলেই হবে না। মাছের সঠিক বৃদ্ধির জন্য পুকুরের জলের স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি। প্রাকৃতিক খাবারের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে পুকুরের জলে দূষণ বাড়তে পারে। দূষিত গ্যাস উৎপন্ন হয়। জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। আবার পুকুরে মাছের প্রাকৃতিক খাবারের পরিমাণ কমে গেলে জল একেবারে স্বচ্ছ হয়ে যায়। তখন জলের উপর থেকে নীচে পর্যন্ত দেখা যায়। ওই জলে মাছের পুষ্টি ঠিকমতো মেলে না। স্বাভাবিকভাবে মাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। মাছ চাষের উপযোগী স্বচ্ছতামান ২৫-৩০ সেমি। জলের স্বচ্ছতা মাপার জন্য যন্ত্র রয়েছে। তা দিয়ে মাছচাষিরা দেখে নিতে পারেন, তাঁর পুকুরের জলের স্বচ্ছতামান কত। মাছ চাষের পুকুরের জলের পিএইচের সঠিক মাত্রাও বজায় রাখা জরুরি। জৈবসারের পচন, যাবতীয় উপকারি জীবাণুর ক্রিয়া ও মাছের শারীরবৃত্তিয় কার্যকলাপ তথা বৃদ্ধি নির্ভর করে জলের পিএইচের উপর।
মাছের সঠিক বৃদ্ধির জন্য জলের পিএইচ ৭.৫ থেকে ৮.৫-এর মধ্যে থাকতে হবে। নিয়ম করে প্রতি মাসে পিএইচ মাপতে হবে। এর জন্য রয়েছে পিএইচ পেপার। জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের যেন সঠিক মাত্রায় থাকে। জলে পচা গন্ধ হলে, জল মোটা হলে, জলাশয়ের নীচে মাত্রাতিরিক্ত জৈব পদার্থ জমলে মাছ অনেক সময় খাবার খায় না। এর প্রধান কারণ, মাছের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন থাকে না জলে। সঠিক মাত্রার চেয়ে অক্সিজেন কমে গেলে রাতে বা ভোরের দিকে মাছ খাবি খেতে থাকে। অনেক সময় মাছ মারাও যায়। ফলে লোকসানের মুখে পড়েন মৎস্যচাষি। জলে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিকঠাক থাকলে মাছের খাদ্যগ্রহণ, বিপাকক্রিয়া ও বৃদ্ধি সবই বাড়ে। জলে অক্সিজেনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে ফোয়ারার জন্য পাম্পসেট বা এয়ারেটর চালানো যেতে পারে। ন্যূনতম চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের চারাপোনা ছাড়তে হবে।