সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকে ১২,৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৮০ একর জমিতে ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে ধান রোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই যন্ত্র কাজ করে, তা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল কৃষি দপ্তরের তরফে। সম্প্রতি এই প্রদর্শনী ক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা কিঙ্কর দে তরফদার, আতমা প্রকল্পের কর্মচারীরা ও কেপিএস সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা কিঙ্কর দে তরফদার বলেন, এই মরশুমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে আমন ধান রোপন করছেন। ট্রে ও ম্যাট পদ্ধতিতে চারাও উৎপাদন করেছেন তাঁরা।
মেশিনের সাহায্যে রোপণ করলে দ্রুত সুষ্ঠুভাবে ধান রোপণ করা সম্ভব। শ্রমিকের অভাবে সমস্যায় পড়তে হয় না। এছাড়া ৪০-৫০ শতাংশ বীজধান কম লাগে। মজুর দিয়ে এক একর জমিতে চারা রোয়ার খরচ সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। সেখানে যন্ত্র দ্বারা রোয়ার খরচ মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। ফলনও বেশি হয়। সবমিলিয়ে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় একর প্রতি প্রায় ৫ হাজার টাকা সাশ্রয় হয় চাষিদের।
ব্লক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শ্রমিক সমস্যা সমাধানে এই পদ্ধতি খুবই উপযোগী। ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রে চালক ও একজন সহায়ক হলেই ধান রোপণ করা যাবে। মাত্র ৪০ মিনিট সময়ের মধ্যে এক বিঘা জমিতে রোপণ করা সম্ভব। সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় এই পদ্ধতি অনেক সুবিধাজনক। টাকাও কম লাগে বলে এখন অনেক চাষিই যন্ত্রের সাহায্যে ধান রোপণের দিকে ঝুঁকছেন। মীনা বসাক দাস, দিপালী দাস, শঙ্করী দাস, রীতা দাস যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপণে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সেসব মহিলা জানান, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমন ধান রোপণ করছি এই মরশুমে। এই পদ্ধতিতে সুবিধা হচ্ছে। আগামীদিনে আমরা এভাবে ধান রোপণ করব। প্রতীকী চিত্র