সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
আসানসোলের মহকুমা শাসক দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশজুড়েই শহরাঞ্চল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বহুতলের ছাদগুলি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেগুলি কোনও কাজে আসে না, উল্টে হিট জেনারেট করছে। সেখানে জল জমলে মশার উৎপাত বাড়ে। তাই এবার ছাদগুলি ব্যবহারের জন্য জেলাশাসকের উদ্যোগে এই নতুন প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। আমরা বেসরকারি সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করব। সরকারি অফিসগুলিতেও এই প্রকল্প করা হবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন হোটেল ও আবাসনের ছাদকেও এর জন্য ব্যবহারের ভাবনা রয়েছে। লকডাউনের জন্য আসানসোলের পরিবেশ কিছুটা ভালো হলেও খনি ও শিল্পশহরে যে সেই পরিবর্তন ক্ষণস্থায়ী তা ভালোভাবেই জানেন বাসিন্দারা। কিন্তু পরিবেশের উন্নতি করতেই অভিনব ভাবনা নিয়েছে প্রশাসন। আসানসোল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বহুতল রয়েছে। যা উষ্ণতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। অব্যবহৃত বেশিরভাগ ছাদকেই এবার পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, ছাদে গাছ থাকলে তাপ বিকিরণ কমে যাবে। যা অত্যধিক উষ্ণতা কমাতে সহযোগী হবে। এছাড়া বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রাও বাড়বে। পাশাপাশি মিলবে টাটকা সব্জিও। প্রাথমিকভাবে ৪০০বর্গফুটের ২০০টি ছাদে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রিন রুফ প্রজেক্ট চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার মহকুমা শাসক কয়েকজন আধিকারিককে নিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই স্থির হয়েছে ব্যবসায়ীরা ২০ জুলাইয়ের মধ্যে জানাবেন কোথায় কোথায় এই প্রকল্প করা সম্ভব হবে। একইভাবে সেই সময়ের মধ্যে প্রশাসনও বিভিন্ন সরকারি ভবনের ছাদগুলি চিহ্নিত করবে। এরপর শহরে যৌথভাবে ছাদ সবুজ করার কাজ শুরু হবে। প্রশাসনের এই উদ্যোগ সফল হলে শহরের পরিবেশ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে আধিকারিকরা আশাবাদী।