সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: বৃহস্পতিবার সকালে রঘুনাথগঞ্জে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে মৃতের নাম আমিরুল শেখ(৪৪)। তাঁর বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার বড়জুমলা কলোনিতে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী সহ পাঁচ ছেলেমেয়ে রয়েছে। পেশায় তিনি কলকাতায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রায় সপ্তাহ খানেক আগেই তিনি কলকাতা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। মদ্যপান করে এসে বাড়িতে প্রায়শই অশান্তি করতো। মঙ্গলবার রাতে ও মদ্যপান করে এসে স্ত্রীকে গালিগালাজ করে। ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে যায়। ভয়ে তার স্ত্রী ঘর থেকে পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাতে নেশার ঘোরে বাড়ির বারান্দায় গলায় ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে। সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের স্ত্রী জাহানারা বিবি বলেন, ও মদ খেয়ে এসে মারধর করতো। রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে আসলে আমি পাশে শাশুড়ির ঘরে লুকিয়ে পড়ি। সকালে দেখি ও ঝুলছে।
অপরদিকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্য হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রঘুনাথগঞ্জের মিঠিপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম আরমান শেখ(১৬)। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার মিঠিপুর পুকুরকোনায়। সে গিরিয়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গ্রামে জলসা উপলক্ষ্যে আলো দিয়ে রাস্তাঘাট সাজানো হয়। অসাবধানতাবশত আলোকসজ্জার তারের সংস্পর্শে আসে ওই কিশোর। ঘটনাস্থলেই সে ছিটকে পড়লে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। 
এদিন সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।