শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ শহরের অন্যতম প্রধান ও ব্যস্ততম রাস্তা আস্তাবল-স্টেশন রোড। আস্তাবল ট্রাফিক মোড় থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে লালবাগ মহকুমা আদালত এবং হাসপাতাল। হাসপাতাল গেটের বিপরীত দিকে রয়েছে লালবাগ বাসস্ট্যান্ড। পরবর্তী ১০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে সুভাষচন্দ্র বোস সেন্টেনারি কলেজ, ফায়ার ব্রিগেড কেন্দ্র এবং ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ জংশন স্টেশন। আদালত, হাসপাতাল, কলেজ এবং স্টেশন থাকার কারণে ২৪ ঘণ্টা ধরেই যানবাহন সহ মানুষের যাতাযাতে ব্যস্ত থাকে রাস্তাটি। লালবাগ মহকুমার মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, লালগোলা, নবগ্রাম, ভগবানগোলা-১ ও ২ ব্লকের বাসিন্দারা চিকিৎসা, প্রশাসনিক ও আদালত সংক্রান্ত কাজকর্ম প্রভৃতি প্রয়োজনে এই রাস্তা ব্যবহার করেন। ফলে ২৪ ঘণ্টাই যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের যাতাযাত লেগেই রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আস্তাবল ট্রাফিক মোড় থেকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের গেট পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের ফুটপাত দখল করে রেখেছেন স্থায়ী ও অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনের সঙ্গে রাস্তা দিয়েই মানুষজন যাতাযাতে বাধ্য হচ্ছেন।
গোলাপবাগের বাসিন্দা আজাহার শেখ বলেন, ব্যবসায়ীরা ফুটপাত দখল করে টেবিল, বেঞ্চ থেকে মালপত্র রেখে দিচ্ছেন। ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় দিনের মধ্যে বেশির ভাগ সময়েই যানজট লেগে থাকছে। অনেক সময় জট ছাড়তে বেশ কিছুটা সময় লেগে যাচ্ছে। ফুটপাত দখলের কারণেই যানজট হচ্ছে বলতে গেলে উল্টে চোখ রাঙাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নশিপুরের বাসিন্দা সিরাজ শেখ বলেন, যানজটের ফলে সবচেয়ে সমস্যায় পড়ছেন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাদের পরিজনরা। লালবাগ মহকুমা আদালতের এক আইনজীবী বলেন, ফুটপাত দখলের ফলে যানজট লেগেই থাকে। তার উপর টোটোর দৌরাত্ম্য তো রয়েছেই। ফলে মাঝেমধ্যে যানজটে আটকে পড়তে হয়। লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, রাস্তার দু’পাশের ফুটপাত এবং কোথাও কোথাও রাস্তা দখল করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।
পুরসভা জানিয়েছে, শহরকে যানজট মুক্ত করতে খুব শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লালবাগ মহকুমা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ওই রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিস মোতায়েন থাকে। তবুও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।