শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ডগর দলে মোটামুটি ১০ জন করে বাদক থাকেন। তাদের মধ্যে দু’জন তাসা পার্টি ও বাকিরা হাফ ঢোলে কাঠি দিয়ে বাজনা বাজান। স্থানীয়ভাবে অনেকে এই বাজনার দলকে চড়বড়ে বাজনাও বলে থাকে। অত্যন্ত তীক্ষ্ম শব্দ হয় এই বাজনার। ইদানীং পুজো ছাড়াও বিয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ভাড়া নেওয়া হয় ডগর দল। এমনকী রাজনৈতিক সভা থেকে মিছিলেও ডগর বাজনা দেখা যায়। যদিও গত লোকসভা ভোটের পর থেকে কয়েকমাস আর তেমন ভাড়া পাননি বলে ডগর বাজিয়েদের দাবি। তবে দীর্ঘ খরার পর এবছর দুর্গাপুজোয় তাঁদের ভাগ্য খুলে গিয়েছে। এবারের পুজোয় অনেকগুলি ডগর দল মুম্বই, লখনউ, হায়দরাবাদ যাওয়ার বরাত পেয়েছে। মোটা অঙ্কের বায়নাও মিলেছে।
কান্দির মাধুনিয়া গ্রামের ডগর বাদক নীলকণ্ঠ দাস বলেন, এবছর আমরা ১০ জনের দল নিয়ে মুম্বই যাচ্ছি। চারদিনে ৮০ হাজার টাকায় রফা হয়েছে। এত বড় বায়না এই প্রথম। ওই গ্রামের অপর একটি ডগর দলের সদস্য মোহন দাস বলেন, এবছর গ্রামের তিনটি দল মুম্বই যাচ্ছে। প্রত্যেকেই মহালয়ার দিনে ট্রেন ধরবেন। লোকসভা ভোটের পর এটাই মোটা অঙ্কের কাজ।
শুধু ওই গ্রামেই নয়, কান্দি মহকুমার অন্যান্য গ্রামেও রয়েছে ডগর দল। ভরতপুর থানার সুন্দিপুর গ্রামের ডগর বাদক ছোটন মাঝি বলেন, এবারের দুর্গাপুজোয় আমাদের দল প্রথমবার রাজ্যের বাইরে যাবে। লখনউয়ের একটি পুজোয় আমরা বায়না পেয়েছি। তাই এখন চূড়ান্ত মহড়া চলছে। ওই থানার আলুগ্রামের ডগর বাদক যতন রজক বলেন, স্থানীয়ভাবে ডগর বাজনা মানুষ পছন্দ করলেও বেশি রোজগার হয় না। এমনকী প্রতিবেশী মালদহ জেলা থেকে আলিপুরদুয়ারেও আমাদের দল ডগর বাজিয়ে এসেছে। কিন্তু রোজগার খুব বেশি হয়নি। এবার ভিন রাজ্যেও আমাদের বাজনার কদর বেড়েছে। -নিজস্ব চিত্র