শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
মুলত তিন অস্ত্রে এই বিধানসভা কেন্দ্রটি জিততে ‘ব্লু প্রিন্ট’ তৈরি করেছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। মাঠে নামতে তৈরি দলের সবস্তরের কর্মীরা। এখন শুধু প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার অপেক্ষা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছে যেতে হবে। অনেক পরিবারে স্বামী বিজেপিকে ভোট দিলেও স্ত্রী ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। সেকথা মাথায় রেখে মহিলা সংগঠনকে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা কমিটির বৈঠকেও আমরা একই বার্তা দিয়েছি।
রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল যে তিনটি অস্ত্র নিয়ে ভোটের ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে, তার প্রথমটি হল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। এটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। দ্বিতীয় হল কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সহ রাজ্য সরকারের ৭৪টি জনমুখী প্রকল্প। তাছাড়া উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর জয়ের রাস্তা মসৃণ করতে দলের তৃতীয় অস্ত্র, বিধায়ক হিসেবে তাঁর তিন বছরের রিপোর্ট কার্ড। কৃষ্ণ এই সময়ে রায়গঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন রাস্তাঘাট উন্নয়নের কাজ করেছেন। রায়গঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে রায়গঞ্জ-বারসই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে নাগর নদীর উপর বাংলা-বিহারের মধ্যে সংযোগকারী সেতু নিয়েও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। উন্নয়নের এই খতিয়ান নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাবে তৃণমূল। কৃষ্ণ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৪টি উন্নয়নমূলক জনমুখী প্রকল্প এবং বিধায়ক হিসেবে গত তিন বছরে রায়গঞ্জের জন্য যত কাজ করেছি, সেই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের কাছে যাব।
লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ৪৬ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এই পরিস্থিতিতে উপ নির্বাচন। হাতে একমাসও সময় নেই। তাহলে কোন মন্ত্রে এই কেন্দ্রে জয়ের সমীকরণ কষছে তৃণমূল? কানাইয়া বলেন, ‘হার থেকে শিক্ষা নিতে হয়। আমাদের লোকসভার প্রার্থী রায়গঞ্জে খুব বেশি সময় দিতে পারেননি। তাঁকে সাতটা বিধানসভায় যেতে হয়েছে। রায়গঞ্জ প্রার্থীর নিজের এলাকা হওয়ায় বাড়তি সুবিধা মিলবে বলে আশা করা হয়েছিল। সেজন্য বাকি ছ’টি বিধানসভায় বেশি সময় দিয়েছিলেন তিনি। এবার একটা বিধানসভাতেই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানো হবে।’