গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
নোটবাতিলের পর শুধু তামিলনাড়ুতেই ৫০ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। বস্ত্র, জুয়েলারি, নির্মাণ, হস্তশিল্প, বৃহৎ শিল্পের অনুসারী শিল্প ইত্যাদি বহু সেক্টরে লক্ষ লক্ষ কর্মহীনতা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই বিপর্যয় মানতে না চাইলেও বিগত বছর থেকেই মোদি সরকার পরোক্ষে স্বীকার করেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দুর্দশার কথা। আর সেই কারণেই গত বছরের শেষার্ধ থেকেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পুনরুত্থানের জন্য মরিয়া হয়েছে সরকার। গত ১৭ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বৈঠক করেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার সংগঠনের সঙ্গে। ফেডারেশন অফ মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী তাঁদের বলেছিলেন, বিভিন্ন সেক্টরের জন্য পৃথক ভাবে তারা যেন নোট তৈরি করে। সেই সঙ্গে কী কী সমস্যা রয়েছে এবং কী করা উচিত সরকারের, তার একটি সম্যক রূপরেখাও জানাতে বলা হয়।
সেই সম্মিলিত নোট দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানোর পর সেই প্রস্তাব, দাবি, সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপর স্থির হয়েছে সেক্টর ধরে ধরে সমস্যা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করার হবে। সম্মিলিত ভাবে একটি আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে একটি রেগুলেটরি অথরিটির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি এই শিল্পক্ষেত্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার উৎসাহ দেওয়ার কথা বললেও ব্যাঙ্ক ঋণের ক্ষেত্রে প্রবল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এই প্রতিটি সমস্যায় খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন বস্ত্র এবং জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বণিকসভা। নোটবাতিলের ফলে এই দুই শিল্প বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বস্ত্র শিল্পের জন্য পৃথক একটি প্যাকেজ দেওয়া হতে পারে। যে রাজ্যগুলিতে রপ্তানির সম্ভাবনা বেশি সেখানে ক্লাস্টার করা হবে।