নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টার্গেট স্থির করে দিয়েছিলেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলায় ৪২টির মধ্যে অন্তত ৩৫টি লোকসভা আসনে জিততে হবে বিজেপিকে। সেইমতো প্রস্তুতি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপিকে। কিন্তু অমিত শাহের স্থির করে দেওয়া টার্গেট নয়। বরং এবারের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা পিছিয়েই আসন জয়ের দৌড়ে নেমেছিল বঙ্গ বিজেপি। দলের শীর্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, এক্ষেত্রে বাংলায় গেরুয়া শিবিরের ‘অভ্যন্তরীণ’ লক্ষ্যমাত্রা ছিল বড়জোর ২০ থেকে ২৫টি আসনে জয়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় জেতা আসন এবং দলীয় সমীক্ষায় চিহ্নিত তুলনামূলকভাবে ‘দুর্বল’ কেন্দ্র - এই দু’য়ের উপর ভিত্তি করেই অভ্যন্তরীণ টার্গেট স্থির করে নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। তা মেনেই চলেছিল যাবতীয় প্রস্তুতি। বঙ্গ বিজেপির এক সাংসদ জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় পার্টি যতই যা বলুক না কেন, আমরা ২০ থেকে ২৫টি আসন জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম। সেই টার্গেট সর্বোচ্চ ২৭টি আসন পর্যন্ত ধরা হয়েছিল। এর মধ্যেই আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি চলেছে।’
এই পরিস্থিতিতে কাল, শনিবার কলকাতায় বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে। নির্বাচনী ফলাফলের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণই ওই বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা। কেন এবার বিজেপি বাংলায় গতবারের থেকেও ছ’টি আসন কম পেল, তা নিয়েও হবে চুলচেরা আলোচনা। সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডের মতো বঙ্গ বিজেপির ভারপ্রাপ্ত দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা কাল কলকাতায় ওই বৈঠকে অংশ নেবেন। যদিও জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করলেও অন্তত আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতি থাকতে পারেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেক্ষেত্রে জুলাই-আগস্টে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের পর বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি হিসেবে অন্য কারও দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।