অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
ভবানীপুর ও মানিকতলা এলাকা থেকে কয়েকদিন আগে প্রায় ২৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার উদ্ধার করে পুলিস। তার মধ্যে কয়েকটি খালি সিলিন্ডারও আছে। এগুলি এখন ইবির হেফাজতেই। এর সঙ্গে আরও বেশ কিছু গোডাউনের হদিশ মিলেছে। যেখানে কালোবাজারির জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করে রাখা আছে বলে খবর। খুব দ্রুত এগুলি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যাটা আরও বাড়বে। উদ্ধার হওয়া সিলিন্ডারগুলি মালখানায় ব্যবহার না হয়ে পড়ে থাকুক, সেটা চাইছেন না ইবি আধিকারিকরা। অক্সিজেন নিয়ে এখন রাজ্য সহ গোটা দেশে সঙ্কট চলছে। তাই উদ্ধার হওয়া সিলিন্ডারগুলি কোভিড রোগীদের জন্য দিতে চাইছেন অফিসাররা। কোথায় কোথায় সরকারি কোভিড হাসপাতাল আছে, এই নিয়ে তালিকা তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। সেখানেই তাঁরা এই সিলিন্ডারগুলি পাঠাতে চান।
কিন্তু এখানে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আদালত। কারণ বাজেয়াপ্ত করা সিলিন্ডার আদালতের সম্পত্তি। তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া এগুলি হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। অন্য সময় অক্সিজেন সিলিন্ডার ধরা হলে আদালতের নির্দেশমতো এগুলি জিম্মা নামা করে রাখা হয় কারও কাছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কোম্পানিকে এগুলি ব্যাবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়। আদালত এই নিয়ে তথ্য চাইলে সংশ্লিষ্টরা আদালতে হাজির হয়ে জানান, কী কাজে সেটি ব্যবহার করা হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে আদালত একটি টাকা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারে। এবার কোভিডের কারণে পরিস্থিতি আলাদা। তাই এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইবি কর্তারা। তাঁদের আশা, যেহেতু এখন অক্সিজেনের সঙ্গে মানুষের জীবন মরণ সমস্যা জড়িয়ে আছে তাই আদালত ইবি’র আবেদনে সাড়া দেবে। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে কথা বলছেন অফিসাররা। কারণ কোন কোভিড হাসপাতালে কত সিলিন্ডার দরকার, সেটি একমাত্র স্বাস্থ্যদপ্তর বলতে পারবে। তাই আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর স্বাস্থ্যদপ্তর যেখানে সিলিন্ডারগুলি পাঠাতে বলবে, সেখানেই দ্রুত পাঠিয়ে দেবে ইবি।।