শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
সোমবার শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পরই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিন বিকেলে পণ্য বোঝাই বহু ট্রাক সীমান্তে এসে পৌঁছায়। কিন্তু বাংলাদেশে যেতে পারেনি। পেট্রাপোল সীমান্তের অন্যতম ক্লিয়ারিং এজেন্ট কার্তিক ইন্দ্র বলেন, হাওড়ার একটি সংস্থা
সাত ট্রাক মাছ পাঠিয়েছিল। সেগুলি অন্ধ্রপ্রদেশে ও ওড়িশা থেকে এসেছে। সেগুলি বাংলাদেশ যেতে পারেনি। অধিকাংশ মাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। এদিকে বেনাপোল সীমান্তে এখনও সাতশোর বেশি ভারতীয় ট্রাক আটকে রয়েছে। ট্রাক থেকে
পণ্য খালি না-হওয়ায় ভারতে ফিরতে পারছে না।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘বুধবার হাতেগোনা কয়েকটি ট্রাক খালি হওয়ায় তারা দেশে ফিরেছে। তবে বহু ট্রাক এখনও ওদেশে রয়েছে। ট্রাক চালকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।’
সূত্রের খবর, এদিন দু’দেশের আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনায় ট্রাক চালকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ট্রাকগুলি দ্রুত খালি করার ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে রপ্তানি চলছে। তবে আমদানি কিছুটা কম। ঘোজাডাঙার ওপারেই রয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। বাংলাদেশের শিল্পের জন্য ভারত থেকে কাঁচামাল যায় এই সীমান্ত দিয়ে। গতকাল থেকে ঘোজাডাঙা সীমান্তে শুরু হয়েছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল।
কান্তি দত্ত নামে ঘোজাডাঙার এক ক্লিয়ারিং এজেন্ট বলেন, প্রায় ২০০টি গাড়ি বাংলাদেশে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে চালকদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। আর বাংলাদেশ থেকে তেল বা অনান্য সামগ্রী আমাদের দেশে আসছে। তবে, পরিমাণ কিছুটা কম। বুধবার ১০টির মতো গাড়ি এসেছে।