সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
রেল সূত্রের খবর, বর্তমানে বহু ট্রেনেই বেআইনি হকারদের দাপট দেখা যায়। তাঁদের দাপটে কোনও কোনও জায়গায় ট্রেনের প্যান্ট্রিকারের কর্মীরাও খাবারের অর্ডার নেওয়া বা খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে পারেন না। যে সব ট্রেনে প্যান্ট্রিকার নেই, সেখানেও একই চিত্র দেখা যায়। চা-কফি থেকে শুরু করে টিফিন, দুপুর-রাতের খাবার, সব কিছুই মেলে হকারদের কাছে। দেখা যাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রেই আইআরসিটিসির নাম ও লোগো ব্যবহার করে বেআইনি হকাররা রাজ চালাচ্ছে রমরমিয়ে। সাধারণ যাত্রীরা তাই অনেক সময় প্যান্ট্রিকারের কর্মীদের থেকে বেআইনি হকারদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারেন না। ফলে পরিষেবায় কোনও গণ্ডগোল হলে তার দায় গিয়ে পড়ে রেলের ক্যাটারিংয়ের উপর। এই প্রেক্ষাপটে ‘ট্রেন সাইড ভেন্ডিং’ চালু করা রীতিমতো কঠিন ব্যাপার বলেই মনে করছে অনেকে।
রেল সূত্রের খবর, বর্তমানে দূরপাল্লার ট্রেনে খাবারের মান উন্নয়নে ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রকের নির্দেশ মতো একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খাবার তৈরিতে নজরদারি বাড়ানো, নতুন বেস কিচেন তৈরি, ট্রেনে নজরদারি চালানো সহ নানা কর্মকাণ্ড চলছে। সার্বিকভাবে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে পরিষেবাতেও। কিন্তু, এসব সত্ত্বেও বেআইনি হকারদের কাজকর্ম বেজায় চিন্তায় রেখেছে কর্তাদের।
আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলীয় দপ্তরের এক কর্তা বলেন, তিনবার ‘লিমিটেড টেন্ডার’ ডাকা হয়েছিল ট্রেন সাইড ভেন্ডিংয়ে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা বাছাই করার জন্য। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পরিস্থিতি বিচার করে ফের নতুন করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রথমত, লিমিটেড টেন্ডারের পরিবর্তে ‘ওপেন টেন্ডার’ ডাকার তোড়জোড় চলছে। এতে আরও অনেক বেশি সংস্থার কাছে পৌঁছনো যাবে। আমরা আশা করছি, ওপেন টেন্ডারে সাড়া পাওয়া যাবে। দ্বিতীয়ত, দু’টি সংস্থার সঙ্গেও এনিয়ে কথা চলছে। তারা প্রাথমিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
কিন্তু, সংস্থা বাছাই হলেও বেআইনি হকারদের দাপটে ট্রেনে সুষ্ঠুভাবে খাবার বিক্রি করা সম্ভব হবে তো? বিষয়টি নিয়ে আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলীয় দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, আমরা ঠিক করেছি, প্রথমে এমন কিছু খাবার পরিবেশন করব, যেগুলি সাধারণত হকারদের থেকে পাওয়া যায় না। তার মধ্যে প্রথমেই থাকবে আইসক্রিম, স্যুপ, স্যান্ডুইচ, গুণগত মানযুক্ত ‘ব্র্যান্ডেড’ চা-কফি। প্রথম পর্বে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস, ইস্ট-কোস্ট এক্সপ্রেস, গণদেবতা এক্সপ্রেস, ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন দিয়ে পরিকল্পনা রূপায়ণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই চেষ্টা সফল হলে আরও কিছু ট্রেনে এই পরিষেবা সম্প্রসারণ করা হবে।