সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
সিইএসসি সূত্রের খবর, এতদিন পর্যন্ত তাদের এলাকায় মোট চারটি কমান্ড স্টেশন ছিল। সেগুলি ছিল বিবাদী বাগ, বিটি রোড, যাদবপুর এবং বড়িশায়। বর্তমানে সিইএসসি এলাকায় গ্রাহক সংখ্যা ৩৫ লক্ষ। হাওড়া-হুগলির সিইএসসি এলাকায় গ্রাহক সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩.৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। নয়া কমান্ড স্টেশন নিয়ে সিইএসসির ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিউশন সার্ভিসেস) অভিজিৎ ঘোষ বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মোকাবিলা আরও কম সময়ে করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ করছি। নয়া পরিকাঠামো সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ। এতে পরিষেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, গরম তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিইএসসি এলাকায় দৈনিক সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার গ্রাফও উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। মার্চ মাসে ঝড়-বৃষ্টির জেরে গরম মাত্রাছাড়া না হওয়ায় দৈনিক বিদ্যুৎ চাহিদা ঘোরাফেরা করেছে সর্বোচ্চ ১৭০০ মেগাওয়াটের আশপাশে। কিন্তু, এপ্রিলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সর্বোচ্চ চাহিদাও। মঙ্গলবারই কোম্পানির এলাকায় দৈনিক সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা পৌছে গিয়েছিল ১৯৪৩ মেগাওয়াটে। আগামী দিনে আবহাওয়া একই থাকলে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই খবর। বর্ষার মুখে আগামী জুনে সেই চাহিদা তুঙ্গে উঠে হতে পারে ২২১০ মেগাওয়াট। এমনই হিসেব কোম্পানির কর্তাদের। মূলত, গরমে এসির ব্যবহার বৃদ্ধির জেরেই বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। চাহিদা বাড়লেও সুষ্ঠুভাবেই পরিষেবা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন কর্তারা।
তবে শুধু সিইএসসি এলাকাতেই নয়, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির এলাকাতেও বাড়ছে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমাণ। কয়েকদিন আগেই তাদের এলাকায় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা পৌঁছে গিয়েছিল সাড়ে ছ’হাজার মেগাওয়াটে। চলতি মাসে একই অবস্থা চলতে থাকলে দৈনিক সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা আরও ১০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ-কর্তারা। এক কর্তা বলেন, চাহিদা বাড়লেও জোগানে কোনও সমস্যা হবে না। সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।