সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল হাতিবাগানে। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে হাতিবাগান স্টার থিয়েটার পর্যন্ত বিধান সরণীর দু’দিকেই মানুষের থিকথিকে ভিড়। পুজোর সময় যেরকম রাস্তাজুড়ে জমাট ভিড় হয়, তেমনই চেহারা দেখা গেল এদিন। পুলিসকেও নাকানিচোবানি খেতে হল ভিড় সামলাতে। পরিস্থিতি সেরকম না হলেও বারবার গাড়ির গতি রুদ্ধ হয়েছে। এখানে পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে শাড়ির দোকান চালাচ্ছেন হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা শ্যামল বসাক। তিনি বলেন, এবার চৈত্রের শুরুর দিকে সেলের বাজার সেরকম ভালো জমেনি। কিন্তু গত সপ্তাহ আর এদিন শেষদিনে প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করছেন। জামা কাপড়, জুতো থেকে শুরু করে ঘর-গেরস্থালির জিনিস, বাসন, এমনকী মনোহারির দোকানেও চৈত্র সেল দিতে দেখা গেল।
নিউ মার্কেট এবং গড়িয়াহাটেও ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। গড়িয়াহাটে চৈত্র সেলের কেনাকাটা করতে সপরিবারে এসেছিলেন টালিগঞ্জের বাসিন্দা অরিজিৎ বসু। তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখে নতুন জামাকাপড় পরার রীতি আমাদের পরিবারে এখনও রয়েছে। ব্যস্ততার কারণে আগের দিনগুলিতে আসতে পারিনি। তাই আজ বাংলা বছরের শেষ দিনে বেরিয়ে পড়েছি সপরিবারে। এখানে দেখা গেল, কয়েকজন হকারও ‘চৈত্র সেল’-এর ব্যানার লাগিয়ে বিক্রিবাটা করছেন। মহম্মদ আখতারউদ্দিন নামে সেই হকার বলেন, এখানে সারা বছরই আমি দোকান লাগাই। বড় দোকানের মতো আমাদেরও প্রচুর পরিচিত এবং ধরাবাঁধা ক্রেতা রয়েছেন। তাই আমরাও চৈত্র সেলে শামিল হয়েছি। এতে যেমন অনেক জামাকাপড় বিক্রি হয়, তেমনই বারো মাসের খরিদ্দাররাও সেলের সুবিধা পান। এবারই প্রথম তিনি এরকম বিক্রিবাটা করলেন বলে জানালেন।
রাত পোহালেই নতুন বছর। হালখাতা আর লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করে নতুন বছরের ব্যবসা শুরু করবেন দোকানদাররা। তার আগে বছরের শেষদিনে কেনাকাটার জন্য উপচে পড়া ভিড়ে খুশি বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’।