শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
দাবা ওলিম্পিয়াডে পুরুষ ও মহিলা দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। সাফল্যের চওড়া হাসি ছড়িয়ে গুকেশ বলছিলেন, ‘স্বপ্ন সার্থক হল। দশম রাউন্ডের পরই সোনা জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। হোটেলে একপ্রস্থ সেলিব্রেশনও হয়ে যায়। তাই রবিবার একেবারে হাল্কা মেজাজে স্লোভানিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে বসেছিলাম। তবে সাবধানও ছিলাম আমরা। কারণ চার গেমের এই লড়াইয়ে হারলে টাই-ব্রেকারে যেতে হতো। আমি, অর্জুন ও প্রজ্ঞানন্দ জিতে যাওয়ায় মসৃণভাবেই এসেছে ট্রফি।’ ১১ রাউন্ডের টুর্নামেন্টে দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেছেন গুকেশ। প্রথম রাউন্ডে না খেললেও শেষ ১০টি গেমে একাই ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দেশের মুকুট জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছেন ১৮ বছর বয়সি এই দাবাড়ু। উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বরে চীনের ডিং লরেনের বিরুদ্ধে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব দখলের লড়াইয়ে নামবেন গুকেশ। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখনই ওই আসর নিয়ে ভাবছি না। আপাতত কিছুদিন দাবা ওলিম্পিয়াড জয়ের মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই। দেশের হয়ে সোনা জিততে পেরে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে।’ গুকেশ ছাড়াও ঝলমলে পারফরম্যান্স মেলে ধরেছেন অর্জুন, প্রজ্ঞানন্দ ও ভিদিত গুজরাতি।
ছেলেদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতীয় মেয়েরাও ওলিম্পিয়াডে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। মহিলা বিভাগে সেরা হওয়ার পর ডি হরিকা বলছিলেন, ‘এই সোনার জন্য ২০ বছর অপেক্ষা করেছি আমি। এটা আমার কাছে খুবই আবেগঘন মুহূর্ত।’ হারিকার পাশাপাশি মহিলা স্কোয়াডে ছিলেন দিব্যা দেশমুখ, বৈশালী রমেশবাবু ও তানিয়া সচদেব। দিব্যার কথায়, ‘প্রতিযোগিতর শুরুটা আমারা দারুণ করেছিলাম। মাঝে একটু তাল কাটলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে আমরা সোনা জিতেছি। এই আনন্দ ভাষায় বোঝানো কঠিন।’