শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
তাই নির্বাচন নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না। রীতিমতো ফতোয়া জারি হয়েছে ফ্রান্স দলে। সাংবাদিকদের অনুরোধ করা হয়েছে, টুর্নামেন্টের সঙ্গে সম্পর্কহীন কোনও প্রশ্ন না করতে। আসলে কোচ দেশঁ সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। ফ্রান্সের নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে থুরাম, ডেম্বেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মত ব্যক্ত করেছেন। সেটা আবার অনেক সতীর্থ ভালোভাবে নেননি। ড্রেসিং রুমে এমন গুমোট আবহ থাকলে প্রভাব পড়বে পারফরম্যান্সে। ফোকাস নড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই প্রথম রাতেই বেড়াল মেরে দেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে ফরাসি ফুটবল সংস্থা।
কাগজে-কলমে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ‘লে ব্লুজ’। কিন্তু অস্ট্রিয়াকে হাল্কাভাবে নিতে নারাজ দেশঁ। প্রতিপক্ষ কোচ রাল্ফ রাংনিকের মগজাস্ত্র সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। রক্ষণ জমাট রেখে প্রতিআক্রমণে গোল তুলে আনাই রাংনিকের কৌশল। এই ফর্মুলাতে ভর করে টানা সাতটি ম্যাচে অপরাজিত অস্ট্রিয়া। তবে সোমবার তাদের কাজটা সহজ হবে না। কারণ, প্রতিপক্ষের নাম ফ্রান্স। দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। গতবারের ফাইনালিস্ট। এমবাপে, গ্রিজম্যান, এনগোলো কান্তে, ডেম্বেলের মতো ফুটবলার একক দক্ষতায় ম্যাচের রং নীল-সাদা করে দিতে পারেন। আর সেই ঝড় থামানোই চ্যালেঞ্জ অস্ট্রিয়ার।
তবে গত ২৪ বছরে শ্যেন নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কিন্তু ২০০০ সালের পর ইউরো খেতাব জিততে পারেনি ফ্রান্স। গতবার সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শ্যুট আউটে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ‘লে ব্লুজ’কে। গোল মিস করেছিলেন এমবাপে। এবার প্রায়শ্চিত্তের জন্য তিনি প্রস্তুত। সম্প্রতি পিএসজি ছেড়ে পছন্দের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন এমবাপে। ফুরফুরে মেজাজে ফরাসি তারকা। লা লিগায় নামার আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও একবার সাড়া ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। ফরাসি ফরোয়ার্ড ছন্দে থাকলে বিপক্ষ খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে। কোনও সন্দেহ নেই, ইউরোর মঞ্চে দেশঁর সেরা অস্ত্র এমবাপেই। তাঁর সামনে অনন্য নজিরের হাতছানি। আর তিনটি গোল হলেই দেশের জার্সিতে ‘হাফ-সেঞ্চুরি’ পূর্ণ হবে। স্বভাবতই এবারের ইউরো এমবাপের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সম্ভবত ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল নামাতে পারেন ফরাসি কোচ। একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে নামতে পারেন জিরু কিংবা থুরাম। দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ শানাবেন এমবাপে ও ডেম্বেলে। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে গ্রিজম্যানের খেলার কথা। তাঁর পিছনে দেখা যেতে পারে র্যাবিয়ট ও এনগোলো কান্তেকে। রক্ষণে হার্নান্ডেজের সঙ্গে কোনাতে, সালিবা ও ক্লাউসের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।