কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
গত তিনদিন বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প ঢুকেছিল। আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিকর গরমে ঘরে থাকাই দায় হয়ে পড়েছিল। গরমে নাজেহাল মানুষ চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে চেয়েছিলেন। এদিন সকালে অসহ্য গরমের হাত থেকে স্বস্তি দিল বৃষ্টি। ভোর থেকেই আকাশ মেঘলা করে আসে। তারপরই অঝোরে বৃষ্টি নামে। ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে বহরমপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যায়। কিন্তু তাতে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় কোনও প্রভাব পড়েনি।
দিনকয়েকের প্রখর গরমে পাটগাছের বৃদ্ধিতে ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করেছিল। অনেকেই সাবমার্সিবল দিয়ে জল সেচ করে পাটের জমির খরা কাটিয়েছেন। যাঁরা সেচ দিতে পারেননি, তাঁরা বৃষ্টির দিকেই চেয়েছিলেন। বেলডাঙা এলাকার পাট চাষি উত্তম মণ্ডল বলেন, বৃষ্টিতে পাটের জমিতে খুবই উপকার হয়েছে। গাছের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উপরের বৃষ্টি খুবই আবশ্যক ছিল। আপাতত কিছুদিনের জন্য চিন্তামুক্ত হতে পারলাম। সকালের ভারী বৃষ্টির পর দিনভর দফায় দফায় বিভিন্ন এলাকায় হাল্কা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে সবচেয়ে খুশি সব্জি চাষিরা। বৃষ্টির অভাবে সব্জির ফলন কমেছিল। বাজারে হু হু করে সব্জির দাম বাড়ছিল। সব্জি চাষি মিরাজুল ইসলাম বলেন, আট কাঠা জমিতে বেগুন গাছ লাগিয়ে এবার বৃষ্টির অভাবে গাছ বাঁচিয়ে রাখতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে। পটল, ঝিঙে, শশা, উচ্ছের মতো লতানো গাছ গরমে হলুদ হয়ে যাচ্ছিল। ফলন কমছিল। ফুল চাষিদের মুখেও বৃষ্টি হাসি ফিরিয়েছে। বিয়ের মরশুমে জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছিল গাঁদা, রজনীগন্ধা। ফুল চাষিদের দাবি, ফুল গাছের প্রাণ বাঁচল।
লালবাগ মহকুমার ফুল চাষি সন্তোষ ভুঁইমালি বলেন, গত এক সপ্তাহ জমি থেকে গাঁদা তুলতে পারিনি। আশা করছি এক দু’দিনের মধ্যে ডাল ভেঙে ফুল আসবে। বিয়ের মরশুম চলছে। এবার দামও পাব। কান্দি মহকুমায় প্রচুর বোরো চাষ হয়। এবার ধানে রোগ পোকার আক্রমণ কম থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। সিংহভাগ চাষি ইতিমধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে পেরেছেন। সামান্য যে পরিমাণ ধান মাঠে পড়ে রয়েছে তাতে খুব একটা ক্ষতির আশঙ্কা চাষিরা করছেন না। ধান চাষি প্রভাত ঘোষ বলেন, আকাশ মেঘলা রয়েছে। এরপর ভারী বৃষ্টি হলে ধান পেলেও খড় পাব না।