সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
তাঁরা বলেন, এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন বহু গাড়ি চলাচল করে। মানুষও যাতায়াত করে। কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি কংক্রিটের করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রতি বছরই জলের স্রোতে ভেসে যায় এই বাঁশের সেতুটি। আর তার জেরে বেশ কয়েক মাস আমাদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ে। বারবার বিষয়টি প্রশাসনিক দপ্তরে জানিও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমরা অবিলম্বে একটি কংক্রিটের সেতু তৈরির দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ধান্যঘড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ সানকি বলেন, ওই বাঁশের সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটি ভেঙে পড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সাথে হুগলির সংযোগ ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওখানে কংক্রিটের সেতু তৈরির জন্য আমরা উচ্চ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি ওখানে কংক্রিটের সেতু তৈরি হবে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেতুটির এক পাড়ে রয়েছে হুগলির খানাকুল থানার অন্তর্গত কাকনান গ্রাম। অন্য পাড়ে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বলরামপুর গ্রাম।
এই দুটি গ্রামের মধ্যে টুঙ্গির ঘাটে এই সেতুটি অবস্থিত। বাঁশের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে সেতুটি তৈরি। কাকনান গ্রাম থেকে বলরামপুর হয়ে ঘাটাল টাউনে যেতে সময় লাগে মাত্র কুড়ি মিনিট। অন্যদিকে কাকনান গ্রাম থেকে আরামবাগ টাউনে যেতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। তাই কাকনান সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দারা এই সেতু পার করেই ঘাটালে যান চিকিৎসা ও নানা প্রয়োজনে। ফলে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মুন্সি আরেফুল হক বলেন, এই সেতুর ওপর দিয়ে আমরা খুব কম সময়ে ঘাটালে যেতে পারি। ফলে আমাদের কাছে সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রতিবছর জল বাড়লেই এটি ভেঙে যায়। তাই আমরা একটি কংক্রিটের সেতুর দাবি জানাচ্ছি।