শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
কাটোয়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাটোয়ায় কাঠের চুল্লি প্রায় বন্ধ করে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হয়েছিল। তারজন্য গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানে মোট দেড় কোটি টাকা খরচ করে দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করেছিল পুরসভা। পাশাপাশি কাঠের একটি চুল্লিতেও শবদাহ করা হতো। তাছাড়া ওই শ্মশানঘাটেই পশুপাখিদের জন্যও একটি চুল্লি তৈরি করা হবে।
এবার এখন প্রতিদিন মৃতদেহের সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণ মৃতদেহের পাশাপাশি কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃতদেহও সৎকার করা হচ্ছে। এদিকে আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ থেকে দশটি মৃতদেহ আসত। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ থেকে ২৪টা। একটি মৃতদেহ সৎকার করতে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। তাহলে দিনে ২২ থেকে ২৪টি মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে রাত পেরিয়ে যাচ্ছে। অনেককে আবার দেড়দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে, একটি ঘরে বাতানুকুল সুবিধাযুক্ত মর্চুয়ারি তৈরি করা হবে। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ১২ থেকে ১৪টি পর্যন্ত মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যাবে। তখন মৃতদেহ নিয়ে আর বাইরে লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে না। প্রতিটি দেহকে সময়মতো বের করে এনে দাহ করা হবে।
শ্মশানের এক কর্মী জানান, এখন আগের থেকে মৃতদেহ বেশি আসছে। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের রাতে আলাদা সময়ে দাহ করা হয়। সেক্ষেত্রে দু’টি চুল্লিতে আমাদের কাজ করতে হয়। একদিনে যদি ১৪টির বেশি মৃতদেহ থাকে সেক্ষেত্রে অনেককেই অপেক্ষা করতে হয়। আর তখন মৃতদেহ নিয়ে অপেক্ষা করতে অনেকে বিরক্ত হন। মর্চুয়ারি হলে অনেক সমস্যা দূর হবে।