শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনে রেলের ফ্লেক্সি-ফেয়ার নীতি নিয়ে বিতর্ক কম নেই। বারবার এই ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়লেও ফ্লেক্সি-ফেয়ার নীতি প্রত্যাহার করেনি রেল। যার ফলে ওই ট্রেনগুলিতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর শর্তসাপেক্ষে টিকিট মূল্য বাড়তে থাকে। কিংবা বেশি ভাড়ায় স্পেশাল ট্রেন চালিয়েও রেলযাত্রীদের চরম ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে মন্ত্রককে। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত রেলযাত্রীদের দিকে তাকিয়ে ট্রেন চালানোর চিন্তাভাবনাকে তাই যথেষ্টই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি কমবে ট্রেনের ভাড়া?
সরকারি সূত্রের খবর, বৈঠকে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ত্রিভুজের যেমন তিনটি স্তর, তেমনই রেলযাত্রীরাও সেভাবেই বিভক্ত। একদম শেষের স্তরে রয়েছেন নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত আয়ের রেলযাত্রীরা। তাঁরাই সবথেকে বেশি ট্রেনে চড়েন। ফলে রেলযাত্রীদের ওই অংশের কথা মাথায় রাখতেই হবে।’ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে রেলের ভাড়া বাড়িয়েছিল তৎকালীন মোদি সরকার। এসি ক্লাসের ভাড়া বেড়েছিল প্রতি কিমিতে চার পয়সা। মেল, এক্সপ্রেসের নন-এসি ক্লাসের ভাড়া প্রতি কিমিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল দু’পয়সা। নন-সাবার্বান নন-এসি ক্লাসের ভাড়া বেড়েছিল প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা। একমাত্র শহর ও শহরতলির লোকাল ট্রেনের ভাড়া এবং সিজন টিকিট মূল্য ওই সময় বৃদ্ধি করা হয়নি। চার বছর পরে ফের কি রেলভাড়ায় পরিবর্তন হতে চলেছে? শুরু হয়েছে চর্চা। জানা যাচ্ছে, প্রান্তিক স্তরের মানুষের কথা মাথায় রেখেই উদ্বোধনের প্রায় ছ’মাস পরে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উৎপাদনও বৃদ্ধির পথে হাঁটছে রেল। এহেন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি ট্রেন রেক তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।