জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
জঙ্গি গোষ্ঠী শাহাদতের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে বাংলাদেশ পুলিস জেনেছে তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পুরো তহবিল আসছে বাংলাদেশে। সেখান থেকে হাওলা করে এই টাকা ভারতে পাঠাচ্ছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা। টাকার পুরোটাই চলে যাচ্ছে সংগঠনের প্রধান সালাউদ্দিনের কাছে। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর যে গ্রুপগুলি রয়েছে, তাদের সদস্যদের কাছে টাকা আসছে ই-ওয়ালেটে। বাংলাদেশে এই জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করা যুবকরা একইভাবে টাকা পাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রতি মাসে এক একজনের কাছে মাসে পনেরো থেকে কুড়ি হাজার টাকা পাঠাচ্ছে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথারা। এবার ই-ওয়ালেটগুলি যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, এই ওয়ালেটগুলি খোলা হয়েছে ভুয়ো নথি ব্যবহার করে। অর্থাৎ জাল নথি দিয়ে প্রথমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে ই-ওয়ালেট। সেই সঙ্গে দেখা হচ্ছে, অন্যের নথি ভাড়া নিয়ে তারা ই-ওয়ালেট খুলেছে কি না। তাদের মোবাইলে ব্যবহার করা সিমগুলি প্রি-অ্যাক্টিভেটেড, যাতে ওয়ালেটের আসল মালিকের বিষয়ে তথ্য না মেলে। তাই ই-ওয়ালেটগুলি কোন কোন ব্যাঙ্কের, তার নথি সংগ্রহ করছেন তদন্তকারীরা। সেটি মিলিয়ে দেখা হবে টাকা কোন কোন অ্যাকাউন্ট থেকে এসেছে এবং তার মধ্যে বিদেশের কোনও অ্যাকাউন্ট আছে কি না। হাবিবুল্লা এলাকার কারও কাছ থেকে গোছা গোছা প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কিনত কি না, তা তাকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ই-ওয়ালেট খোলার জন্য মডিউল মেম্বারদের ওটিপি হাবিবুল্লা দিত কি না, সেই বিষয়েও খোঁজখবর শুরু হয়েছে। তাহলেই গোয়েন্দাদের কাছে টাকার উৎস নিয়ে স্পষ্ট সূত্র মিলবে।