বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
আর কয়েক মাস পরেই বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পাসিং শুরু হয়ে যাবে। কোথাও অনলাইনেই পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। কিছু প্রতিষ্ঠানে আবার কোম্পানিগুলো গিয়ে তাদের পছন্দমত প্রার্থী বাছাই করে নেয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের প্লেসমেন্ট নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যেমন কয়েকটি বেসরকারি কলেজের তরফে ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চাকরির সুযোগ এখন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ফলে যে রকমের চাকরি মিলবে, তাই নিয়ে নিতে হবে। এমনকী যাঁরা ইতিমধ্যে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছেন, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ সব সংস্থাগুলি বড়সড় লোকসানের সম্মুখীন। তাই পড়াশোনার উপর এখন বেশি জোর দিতে হবে। যা যা অনলাইন ক্লাস হচ্ছে, সেগুলি মন দিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছে সেইসব কলেজ কর্তৃপক্ষ। রাজ্যে প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ দেওয়া হয়, এমন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও যথেষ্ট চিন্তিত। যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, প্লেসমেন্টে ধাক্কা লাগতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর যে ধাক্কা এসেছে, তাতে প্রভাব পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। তবে প্লেসমেন্টে এই সমস্যা কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। জানা গিয়েছে, এখানে প্রতিবছরই তাবড় তাবড় কোম্পানির প্রতিনিধিরা আসেন। ইঞ্জিনিয়ারিং এর চতুর্থ বছরের প্রার্থীদের থেকেই নিয়োগ করা হয়। প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি ছাত্র-ছাত্রী এই প্লেসমেন্টের মাধ্যমে চাকরি পান। অন্যদিকে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মিত্রের কোথায়, এখন একটু ধীরে চলো নীতি প্রয়োগ করবে সংস্থাগুলি। অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে আশা করা যাচ্ছে, সব কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলে চাকরির বাজার আবার চাঙ্গা হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের কথাতেও উঠে এসেছে উদ্বেগের কথা। তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব এখন স্তব্ধ। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে কেউ নিয়োগ করবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে একটা কঠিন সময় চলছে। ছেলেমেয়েরা আশায় থাকেন যে, পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবেন। কিন্তু সেই সম্ভাবনা ধাক্কা খেলো। এই লকডাউনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অর্থনৈতিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে কত সময় লাগবে, তা নিয়ে কেউই নিশ্চিত নন। কিন্তু পরিস্থিতি ফের আগের মত হয়ে গেলে, তখন চাকরির বাজার ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আশা শিক্ষামহলের।