শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
আরামবাগ মহকুমায় গত বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও অন্যান্য কারণে আলু চাষে ক্ষতি হয়েছিল। চাষিরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। আর্থিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে চাষিরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছিলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলায় দেড় লক্ষ চাষি ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছিলেন। প্রথম পর্যায়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ৪১ কোটি ৭১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে ওই তালিকায় অনেকের নাম না থাকায় চাষিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গোঘাট ও পুরশুড়া ব্লকের আলু চাষিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। ক্ষতিপূরণের তালিকায় সব ক্ষতিগ্রস্ত চাষির নাম না থাকায় প্রশ্ন উঠছে। মহকুমা কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরাও বিষয়টি অস্বীকার করছেন না। উপগ্ৰহ চিত্র মারফত ক্ষতিগ্ৰস্ত চাষের জমি যাচাই করতে গিয়েই সমস্যা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি, সেচ কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল মিশ্র বলেন, আরামবাগ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় আলু চাষ হয়। ব্লকের ২৯টি সমবায় থেকে আলু চাষিদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল। মলয়পুর-১ ও ২ পঞ্চায়েত, হরিণখোলা-১ ও ২ পঞ্চায়েত ও সালেপুরের বেশিরভাগ জমিতে জল জমে প্রথমে লাগানো অলু বীজ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ক্ষতিগ্ৰস্ত অনেক চাষির ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম নেই বলে অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসব।
জেলার কৃষি উপ অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মুর্দ্রাণ্য বলেন, জেলায় প্রথম দফায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। উপগ্ৰহ চিত্র প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আলু চাষের জমি যাচাই করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে কিছু চাষির নাম অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে সমস্যা হয়েছে। তা মেটানোর চেষ্টা চলছে।
গোঘাটের কুমুড়শা গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার আলু চাষি সুশান্ত মণ্ডল বলেন, গত বছর মাঘ মাসে বৃষ্টিতে আলু চাষের চার বিঘা জমিতে জল জমে গিয়েছিল। কুমুড়শা কৃষি সমবায় সমিতি থেকে ৫২ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলাম। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। বিমার টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে শুনেছি। এখনও টাকা ঢোকেনি। টাকা পেলে খুবই উপকার হবে। পুরশুড়ার আলু চাষি আশুতোষ মাইতি বলেন, তিন বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছিলাম। গত নভেম্বরের বৃষ্টিতে এই এলাকার বেশিরভাগ জমিতে লাগানো আলু নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছিলাম। এখনও টাকা ঢোকেনি। আশা করছি, ক্ষতিপূরণের টাকা দু’-একদিনের মধ্যে ঢুকে যাবে।